বাংলাদেশের আদালত বলল, অন্তঃসত্ত্বা সোনালি 'ভারতীয়', হাতিয়ার করল TMC

বাংলাদেশের আদালতের গুরুত্বপূর্ণ রায়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল ভারতের বাঙালি পরিবারগুলি। “The Control of Entry Act, 1952” মামলায় বড় জয় পেলেন তাঁরা। রায়ে বাংলাদেশের আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে — যাঁদের ‘বিদেশি’ প্রমাণ করার চেষ্টা হয়েছিল, তাঁরা প্রকৃতপক্ষে ভারতীয় নাগরিক।

Advertisement
বাংলাদেশের আদালত বলল, অন্তঃসত্ত্বা সোনালি 'ভারতীয়', হাতিয়ার করল TMCপ্রতীকী ছবি

বাংলাদেশের আদালতের গুরুত্বপূর্ণ রায়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল ভারতের বাঙালি পরিবারগুলি। “The Control of Entry Act, 1952” মামলায় বড় জয় পেলেন তাঁরা। রায়ে বাংলাদেশের আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে — যাঁদের ‘বিদেশি’ প্রমাণ করার চেষ্টা হয়েছিল, তাঁরা প্রকৃতপক্ষে ভারতীয় নাগরিক।

আদালত শুধু মৌখিকভাবে নয়, বরং আধার কার্ডের নম্বর ও ঠিকানা উল্লেখ করে তাঁদের ভারতীয় পরিচয় নিশ্চিত করেছে। আদালতের নির্দেশের কপি ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশনে, যেখানে বলা হয়েছে বীরভূমের অন্তঃসত্ত্বা সোনালি খাতুন-সহ সকল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ভারতে ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে। 

এই রায়ের কপি তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলাম তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন। তিনি লিখেছেন — "আমাদের দেশ যাদের বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য এত চেষ্টা করেছিল, তারাই এখন ভারতীয় বলে প্রমাণিত হয়েছে - আমাদের দ্বারা নয়, বাংলাদেশ দ্বারা। একটি যুগান্তকারী রায়ে, বাংলাদেশের একটি আদালত তাঁদের কেবল ভারতীয় নাগরিক ঘোষণা করেনি, এমনকি তাদের আধার কার্ড নম্বর এবং আবাসিক ঠিকানাও প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। আদালতের আদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে পাঠানো হয়েছে। যেখানে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে তাঁদের সকলকে বীরভূমের অন্তঃসত্ত্বা মহিলা সোনালি খাতুন সহ - নিরাপদে ভারতে ফেরত পাঠানো হোক।"

এটি আবারও প্রমাণ করে যে বাংলা বিরোধী বিজেপি কীভাবে দরিদ্র বাংলাভাষী মানুষকে নিষ্ঠুরভাবে লক্ষ্যবস্তু করে, তাঁদের বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত করে এবং তাঁদের ভাষা ছাড়া অন্য কোনও কারণে তাঁদের নির্বাসিত করে। আমরা এখনও মনে করি কীভাবে বাংলায় বিজেপির কয়েকজন এজেন্ট তাঁদের রোহিঙ্গা হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছিল। সেই আক্রমণগুলি আমাকে বা আমার পরিবারকেও রেহাই দেয়নি।

তবুও, এই সমস্ত কিছুর মধ্যে, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই মানুষদের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছেন। লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের সাহস এবং দৃঢ় প্রত্যয় জুগিয়েছেন। কলকাতা হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে যে সোনালি এবং অন্যান্যদের চার সপ্তাহের মধ্যে ফিরিয়ে আনতে হবে। এখন, প্রশ্ন থেকে যায় - বাংলা বিরোধী কেন্দ্রীয় সরকার সোনালি এবং তাঁর সঙ্গীদের কখন দেশে ফিরিয়ে আনবে?

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement