Bangladeshi woman: চাকরির টোপে দিল্লিতে বিক্রি বাংলাদেশি মহিলা, পাচারের আগেই...

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এনে বিক্রি করার অভিযোগ সামনে এসেছে। দিল্লিতে মানব পাচারের কবল থেকে পালিয়ে এসে অবশেষে আসামে উদ্ধার হলেন কুমিল্লার বাসিন্দা এক বাংলাদেশি মহিলা। ঘটনায় সীমান্তপারের মানব পাচার চক্রের ইঙ্গিত মিলেছে।

Advertisement
চাকরির টোপে দিল্লিতে বিক্রি বাংলাদেশি মহিলা, পাচারের আগেই...
হাইলাইটস
  • চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এনে বিক্রি করার অভিযোগ সামনে এসেছে।
  • দিল্লিতে মানব পাচারের কবল থেকে পালিয়ে এসে অবশেষে আসামে উদ্ধার হলেন কুমিল্লার বাসিন্দা এক বাংলাদেশি মহিলা।

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এনে বিক্রি করার অভিযোগ সামনে এসেছে। দিল্লিতে মানব পাচারের কবল থেকে পালিয়ে এসে অবশেষে আসামে উদ্ধার হলেন কুমিল্লার বাসিন্দা এক বাংলাদেশি মহিলা। ঘটনায় সীমান্তপারের মানব পাচার চক্রের সক্রিয়তার ইঙ্গিত মিলেছে।

উদ্ধার হওয়া মহিলার নাম রুমি আক্তার। তাঁর অভিযোগ, প্রায় দুই মাস আগে ঢাকার একটি চক্র তাঁকে এবং আরও আটজন তরুণীকে ভালো চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভারতে নিয়ে আসে। পার্বত্য সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে ঢোকানোর পর তাঁদের সকলকে ভুয়া পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। রুমির আধার কার্ডে নাম লেখা হয় ‘ঝুমা রাই’।

রুমি জানান, চাকরির কথা বলে তাঁদের প্রথমে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পর একে একে বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের ‘বিক্রি’ করে দেওয়া হয়। কয়েক দিন বন্দিদশায় থাকার পর সুযোগ বুঝে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান। দিল্লি থেকে প্রথমে গুয়াহাটিতে, তারপর কোচবিহারে পৌঁছে তিনি পুলিশের সাহায্য চান।

অভিযোগ অনুযায়ী, কোচবিহার থেকে তাঁকে আসামের ধুবড়ি জেলার গোরিপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হলেও প্রথমে পুলিশ সাহায্য করতে অস্বীকার করে, এখতিয়ার নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়। রাতে অসহায় অবস্থায় তিনি গোরিপুর এলাকায় ঘুরতে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় একটি নার্সিংহোমে রাত কাটানোর পর পরদিন আসাম পুলিশ তাঁকে নিরাপত্তামূলক হেফাজতে নেয়।

সাংবাদিকদের কাছে রুমি বলেন, 'আমাদের চাকরির মিথ্যা স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল। ভারতে এনে আমাদের বিক্রি করে দেওয়া হয়। আমি কোনওভাবে পালিয়ে বেঁচে ফিরেছি। এখন শুধু বাংলাদেশে বাড়ি ফিরতে চাই এবং আমার মতো যারা আটকে আছে, তাদের সাহায্য চাই।'

রুমি আরও অভিযোগ করেন, এই পাচারের জন্য তাঁর কাছ থেকে প্রায় ৯৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছিল। জাল নথি ও ভুয়া পরিচয়ের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে ফাঁকি দেওয়াই ছিল পাচারকারীদের মূল কৌশল।

ধুবড়ির সিনিয়র পুলিশ সুপার দেবাশীষ বোরা উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিক তদন্তে রুমির বাংলাদেশি পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে। পাচারকারী নেটওয়ার্কের ভারতীয় ও বাংলাদেশি যোগসূত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত দালাল ও মধ্যস্থতাকারীদের শনাক্ত করতে তদন্ত জোরদার করা হয়েছে।

Advertisement

ঘটনাটি ফের একবার সীমান্ত পেরিয়ে মানব পাচারের ভয়াবহ বাস্তবতা সামনে আনল। প্রশাসনের দাবি, শুধু রুমির নিরাপত্তাই নয়, এমন চক্রে আটকে পড়া অন্য ভুক্তভোগীদের উদ্ধারের দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।

 

POST A COMMENT
Advertisement