Bareilly serial killer: খুনের পর মেয়েদের লিপস্টিক-টিপ-আধার রেখে দেয়, ধরা পড়ল সেই সাইকো কিলার

উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে ধরা পড়ল এক সাইকো কিলার। তার নাম কুলদীপ। গত ১৪ মাসে একের পর এক ৯ জন মাঝবয়সী মহিলাকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মহিলাদের সবাইকেই নির্জন মাঠে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

Advertisement
 খুনের পর মেয়েদের লিপস্টিক-টিপ-আধার রেখে দেয়, ধরা পড়ল সেই সাইকো কিলারখুনের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে রাখত লিপস্টিক-টিপ-আধার, ধরা পড়ল ভয়ানক সাইকো কিলার
হাইলাইটস
  • উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে ধরা পড়ল এক সাইকো কিলার
  • গত ১৪ মাসে একের পর এক ৯ জন মাঝবয়সী মহিলাকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে

উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে ধরা পড়ল এক সাইকো কিলার। তার নাম কুলদীপ। গত ১৪ মাসে একের পর এক ৯ জন মাঝবয়সী মহিলাকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মহিলাদের সবাইকেই নির্জন মাঠে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সিরিয়াল কিলার কুলদীপ জানায় যে সে মহিলাদের প্রতি বিরক্ত ছিল। সে মহিলাদের ঘৃণা করে, সেই কারণেই একের পর এক মহিলাকে হত্যা করেছে। এই বিদ্বেষের পেছনের গল্পও বলেছে কুলদীপ।

চলুন পুরো বিষয়টি জেনে নেওয়া যাক... 

আসলে ৯ জন মহিলাকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত সাইকো কিলার কুলদীপের মা ও দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন। তার সৎ মা নির্যাতন করতেন। কুলদীপ একসময় বিয়ে করে, যদিও কিছুদিনের মধ্য়ে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। এই সমস্ত ঘটনা তার হৃদয় ও মনকে নারীর প্রতি ঘৃণাতে ভরিয়ে দেয়। সেজন্য সে বেছে বেছে মহিলাদের খুন করতে শুরু করে। কুলদীপ তার স্বীকারোক্তিতে বরেলি পুলিশকে জানিয়েছে যে তার মা বেঁচে থাকতে তার বাবা বাবুরাম অন্য একজন মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন। কুলদীপ বলেছে, 'আমার সৎ মায়ের নির্দেশে বাবা বাবুরাম আমার নিজের মাকে মারধর করতেন। তিনি আমাকে এবং আমার বোনদেরও মারধর করতেন। আমার বাবার এসব অত্যাচার ও কষ্টের কারণে আমার জৈবিক মা এবং দুই বোনই মারা যান।' 

Bareilly: Serial killer arrested

এসব ঘটনা কুলদীপের মনে ঘৃণা তৈরি করে। সে পাগলের মত আচরণ করতে থাকে। তবে তখনও পর্যন্ত সে সাইকো কিলার হয়ে ওঠেনি। ২০১৪ সালে কুলদীপের বিয়ে হয়। কিন্তু এই সময় সে হিংস্র হয়ে ওঠে। স্ত্রীকে মারধর শুরু করে। কুলদীপের অত্যাচারে ক্লান্ত হয়ে স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর কুলদীপ বন ও নির্জন জায়গায় বসবাস শুরু করে। পায়ে হেঁটে চলা, মোবাইল না রাখা, অদ্ভুত আচরণ করা তার স্বভাব হয়ে গিয়েছিল। এছাড়াও সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিল। সমাজ থেকে দূরে থাকতেই সিরিয়াল কিলিং এর চিন্তা মাথায় আসে তার। এরপর সে ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সী (মধ্যবয়সী) মহিলাদের টার্গেট করা শুরু করে। প্রথমে সে মহিলাদের রেইকি করত, যখন কাউকে পছন্দ হত তখন সেই মহিলাটিকে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে শাড়ি বা ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করত। এরপর মৃতের গলায় গিঁট বেঁধে দিত। এতে সে মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হত। কুলদীপ এই আদলে পরপর ৬টি খুনের কথা স্বীকার করেছে।

Advertisement

হত্যার পর এই কাজটি করত

শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেরেলির এসএসপি অনুরাগ আর্য এই সিরিয়াল কিলার কুলদীপকে মিডিয়ার সামনে আনেন। পুলিশ জানিয়েছে, কুলদীপ নির্জন জায়গায় মহিলাদের নিয়ে গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য দাবি জানাত। মহিলারা প্রতিবাদ করলে কুলদীপ তাদের শাড়ি/ওড়ানা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করত। খুনের পর সে মৃতদের কোনও একটি জিনিসপত্র স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে নিজের কাছে রাখত, যেমন কাস্তে, লিপস্টিক, টিপ বা আধার কার্ড।

POST A COMMENT
Advertisement