জীবন বিমা ও স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামের ওপর GST চার্জ নিয়ে এবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি লিখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, 'বিমার প্রিমিয়ারের ওপরে আরোপ করা জিএসটি সাধারণ মানুষের ওপর আর্থিক বোঝা বাড়াবে। এই অতিরিক্ত বোঝা অনেক ব্যক্তির জন্য নতুন পলিসি কেনা বা পুরনো বিমার কভারেজ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা তৈরি করতে পারে। যার ফলে তাদের অপ্রত্যাশিত আর্থিক দুরবস্থার শিকার হতে পারে।'
বৃহস্পতিবারই এনিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন তৃণমূল সুপ্রিমো ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমার প্রিমিয়ামের ওপর করা চাপানোকে 'খারাপ' আখ্যা দেন তিনি। মমতা বলেছেন যে বিমার প্রিমিয়ামে জিএসটি মানুষের মৌলিক চাহিদার যত্ন নেওয়ার ক্ষমতাকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করবে। এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লেখেন, 'ভারত সরকারের কাছে আমাদের দাবি হল মানুষের স্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে জীবন বিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম থেকে GST প্রত্যাহার করা। এই জিএসটি খারাপ, কারণ এটি মানুষের মৌলিক অত্যাবশ্যক চাহিদার যত্ন নেওয়ার ক্ষমতাকে প্রতিকূলভাবে প্রভাবিত করে সরকার জনবিরোধী জিএসটি প্রত্যাহার না করলে আমরা পথে নামতে বাধ্য হব।'
এদিকে আজ এই ইস্যুতে সংসদের মধ্যে ও বাইরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের সাংসদরা। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র ছিলেন বিক্ষোভ কর্মসূচিতে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা ইস্যুটি উত্থাপন করেছি, জীবন বিমার প্রিমিয়াম এবং স্বাস্থ্যবিমার ওপর জিএসটি চার্জ করা হয়েছে, এটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করা দরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও এনিয়ে কাল সরব হয়েছেন। আমরা মনে করি এই জিএসটি জনবিরোধী, এই জিএসটি দেশের জনগণের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। নির্মলা সীতারামনের এই জিএসটি প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করা উচিত। আমরা এই ইস্যুতে জনগণের পাশে আছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বৃহত্তর আন্দোলনের জন্য প্রয়োজনে পথে নামতে প্রস্তুত।'
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই একমাত্র নন যিনি চান কেন্দ্র জীবন ও স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামের ওপর জিএসটি প্রত্যাহার করুক। খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি সম্প্রতি নির্মলা সীতারামনকে জীবন ও স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামের ওপর ১৮ শতাংশ জিএসটি প্রত্যাহার করার অনুরোধ করেছেন। সীতারামনের কাছে চিঠিতে গডকরি বলেছেন যে বিমার প্রিমিয়ামের ওপর জিএসটি ধার্য করা জীবনের অনিশ্চয়তার ওপর ট্যাক্স ধার্য করার সমান।