বছর পার করলেই উত্তরপ্রদেশের হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচন। জানা যাচ্ছে, AIMIM প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি অন্তত ১০০টি আসনে প্রার্থী দিতে চলেছেন। মুসলিম ভোটব্যাঙ্কে চিড় ধরাতে পারে ওয়েইসি এই শঙ্কা এখনই শুরু হয়েছে সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস থেকে শুরু করে বিএসপির মধ্যে। এমন অবস্থায তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। বিজেপির পাশাপাশি তিনি নিশানা করলেন ওয়েইসিকেও।
সম্প্রতি দেওবন্দে এসেছিলেন মমতা সরকারের পরিচিত মুসলিম মুখ তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদিকুল্লা চৌধুরী। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হিন্দু ও মুসলমানরা মিলে বাংলায় বিজেপিকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। বাংলায় ৯৭ শতাংশ মুসলিমই দেশ ও সংবিধান বাঁচাতে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে। ঠিক একইভাবে উত্তরপ্রদেশের মানুষদের কৌশল অবলম্বন করা উচিত। মন্ত্রী কথাতেই স্পষ্ট তিনি আদতে বাংলায় কায়দায় ভোটের কৌশল চাইছেন উত্তরপ্রদেশে। ওয়েইসিকে নিশানা করে সিদিকুল্লা বলেন, আসাদউদ্দিন ওয়াইসি প্রতিটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়ে মুসলিম ভোট ভাগ করার কাজ করছেন। আর এর ফলে বিজেপি শক্তিশালী হচ্ছে। বাংলার মানুষ ওয়েইসিকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ ওয়েইসির উস্কানিমূলক বক্তব্যে মুসলমানরা লাভবান হবেন না। উলেমাদেরও সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জন্য আহবান জানান রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী। উত্তরপ্রদেশে বিজেপি বিরোধী সকল রাজনৈতিক দলকেই এক হওয়ার ডাক দেন তিনি।
সিদ্দিকুল্লা জানান, বাংলার মানুষ তৃণমূলকে জিতিয়ে সংকেত দিয়েছে যে মোদী-শাহ অপরাজেয় নয়। এখানে যদি ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিগুলি যদি একত্রিত হয়, তাহলে বিজেপি হারানো যেতে পারে। তবে সিদিকুল্লার এই মন্তব্যে অন্য দিকও রয়েছে। ঘুরপথে আদতে মুসলিম সমাজকে সমাজবাদী পার্টির হাত ধরতেই কি বললেন বাংলার গ্রন্থাগার মন্ত্রী? সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। কারণ, সমাজবাদী পার্টির বড় অংশ জুড়ে রয়েছে মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক। সেখানে ওয়েইসি থাবা বসালে ধাক্কা খাবেন অখিলেশ। আবার এই ভোটব্যাঙ্কের নজর রয়েছে বিএসপি এবং কংগ্রেসেরও। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে অখিলেশ সমর্থন করেছিলেন মমতাকে। তাই উত্তরপ্রদেশে এবার অখিলেশখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমর্থনের বার্তা দেন কিনা, সেটাই এখন দেখার।