
Bengaluru Jail Viral Video: বেঙ্গালুরুর পরাপ্পনা অগ্রহারা সেন্ট্রাল জেল নিয়ে ফের বড় বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, জেলের ব্যারাকের ভেতর বন্দিরা গান বাজাচ্ছেন, চিৎকার করে বলছেন ‘পার্টি অল নাইট’, আর কেউ কেউ থালা-বাটি বাজিয়ে মিউজিক তৈরি করছেন।
আরও চাঞ্চল্যকর, সেই ভিডিওয় দেখা গিয়েছে। জেলের ভেতরেই খোলাখুলি মদের আসর বসেছে! বন্দিরা নাচছেন, গাইছেন, এমনকি কেউ কেউ হাতে মগ নিয়ে “চিয়ার্স” করছেন।
ভিডিও জেলের ব্যারাক 1/3B থেকে, এক সপ্তাহ আগের ঘটনা
সূত্র অনুযায়ী, ভিডিওটি জেলের ব্যারাক নম্বর 1/3B-এর ভিতরের দৃশ্য। আগে ২০২৩ সালে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, কিন্তু এবারকার ঘটনাটি মাত্র এক সপ্তাহ আগের বলে জানা যাচ্ছে। অবাক করার মতো বিষয়, এই জেলেই বর্তমানে বন্দি রয়েছেন কন্নড় অভিনেতা দর্শন এবং তাঁর বান্ধবী অভিনেত্রী পবিত্রা গৌড়। যাঁরা রেণুকাস্বামী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।
জেলের ভিতর ফোন, টিভি, মদ
ভিডিওয় দেখা গেছে, কয়েকজন বন্দি টেলিভিশন দেখছেন, কেউ কেউ মোবাইল ফোন চালাচ্ছেন। জানা গেছে, কিছু বন্দির কাছে অ্যান্ড্রয়েড ফোন, টেলিভিশন সেট, এমনকি দামি ইলেকট্রনিক গ্যাজেট পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে। এমনকী ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষী উমেশ রেড্ডি-কেও ভিডিওয় ফোন ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে।
তদন্তে নেমেছে জেল কর্তৃপক্ষ
ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। শনিবার জেলের ভিতরে অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ জারি হয়েছে। মূল প্রশ্ন এত কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও বন্দিদের কাছে কীভাবে পৌঁছল ফোন, মদ আর টিভি? কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তদন্ত শেষে জানা যাবে কোন কোন জেলকর্মীর মিলিভগত বা গাফিলতি রয়েছে।
“যদি এমন চলতে থাকে, এটাকে আর জেল বলা যাবে না”
কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি. পরমেশ্বর জানিয়েছেন, আগে এমন ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এবারও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বেঙ্গালুরু পুলিশ কমিশনার বি. দয়ানন্দ-কে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, “এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। যদি এমনই চলে, তাহলে এটাকে জেল বলা যাবে না।” তিনি আরও জানান, পুরো বিষয়টি নিয়ে শীঘ্রই পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হবে।
বিরোধীদের কড়া আক্রমণ
এই ভিডিও সামনে আসতেই বিপাকে রাজ্য সরকার। কারণ, কিছুদিন আগেই অভিনেতা দর্শন আদালতে আবেদন করেছিলেন, জেলে যেন তাঁকে একটা বালিশ দেওয়া হয়। এখন সেই একই জেলের মধ্যে পার্টির ভিডিও ফাঁস হওয়ায়, বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছে, সরকার VVIP বন্দিদের জন্য আলাদা সুবিধা দিচ্ছে। বিরোধীদের দাবি, “সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে নির্দিষ্ট বন্দিদের জন্য ছাড় দিচ্ছে।” এই ঘটনায় কংগ্রেস সরকারের ভাবমূর্তি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।