ভবানীপুরে প্রচার করতে গিয়ে বারবার আক্রান্ত হয়েছে তাদের নেতৃত্ব। এমনকি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকেও আটকানোর চেষ্টা হয়েছে। এই নিয়ে আগেও অভিযোগ করেছিল গেরুয়া শিবির। সব কিছুকে ছাপিয়ে যায় উপনির্বাচনের শেষদিনের প্রচার। মঙ্গলবার প্রচারের শেষলগ্নের যদুবাবুর বাজারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল ভবানীপুর। যা নিয়ে সোমবারই রিপোর্ট তলব করেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এবার এই ঘটনা নিয়ে সোজা দিল্লির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানাল বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
যেসব আবেদন করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা
ভোটের দিন ভবানীপুরে ১৪৪ ধারা চেয়ে সোমবারই নির্বাচন কমিশনে তদ্বির করেছিল বিজেপি। বিজেপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল কলকাতায় কমিশনের দফতরে গিয়ে স্মারকলিপি দিয়ে এই দাবি করে। সোমবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে গিয়েছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। সঙ্গে ছিলেন শিশির বাজোরিয়াও। দু’জনেই ভবানীপুর নিয়ে একাধিক দাবি-দাওয়া রেখেছেন কমিশনের সামনে। মঙ্গলবার অনুরাগ ঠাকুর, মুক্তার আব্বাস নাকভিদের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল দিল্লিতে কমিশনের সদর দফতরে হাজির হয়ে একগুচ্ছ দাবি কোলে। উপনির্বাচনে প্রতিটি বুথে মাইক্রো অবজার্ভারের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি ভবানীপুরের জন্য ৪০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। রাজ্যের তরফে সোমবারের পাঠান হিংসা রিপোর্ট নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রতিনিধি দল দাবি করে, পশ্চিমবঙ্গে হিংসা এবং নির্বাচন সমার্থক হয়ে গেছে এবং সব নির্বাচনকেই হিংসার মাধ্যমে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়।
We met EC & told them that polls & violence are synonyms to each other in WB. It seems that Didi &her workers have more faith in violence than polls. Attack on Dilip Ghosh shows that TMC & WB Govt consider violence to be democracy. We demand action: Union Minister Bhupender Yadav pic.twitter.com/phRNfHfI99
— ANI (@ANI) September 28, 2021Advertisement
অশান্তির ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের কলকাতা পুলিশের
এদিকে সোমবার বিজেপির মিছিলকে কেন্দ্র করে যে রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি হয়েছিল তা নিয়ে মঙ্গলবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল পুলিশ। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনও পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে পুলিস সুয়োমোটো মামলা দায়ের করেছে। সূত্রের খবর, মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে রয়েছে জনা কয়েক অপরিচিত ব্যক্তি। উল্লেখ রয়েছে দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীদের বন্দুক উঁচিয়ে তেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গটিরও। আর এই মামলার পরপরই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রিপোর্টও পাঠান হয়েছে।