Amit Shah On Pahalgam Attack: 'কাউকে ছাড়ব না,' পহেলগাঁওয়ে নেমেই হুঁশিয়ারি অমিত শাহের

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিহতদের পরিবারের অনেকেই জানিয়েছেন যে ধর্ম জেনে বেছে বেছে গুলি করেছে জঙ্গিরা। হিন্দু ধর্ম জানতে পারার পরেই এতজন মানুষকে গুলি করা হয়েছে। নিহত এক যুবকের স্ত্রী জানিয়েছেন, পর্যটকদের নাম জিজ্ঞাসা করে, তাদের ধর্ম পরিচয় যাচাই করে গুলি করা হয়েছে।

Advertisement
'কাউকে ছাড়ব না,' পহেলগাঁওয়ে নেমেই হুঁশিয়ারি অমিত শাহের'কাউকে ছাড়ব না,' পহেলগাঁওয়ে নেমেই হুঁশিয়ারি অমিত শাহের
হাইলাইটস
  • হতাহতের সংখ্যা সর্বাধিক হবে জেনেই ইচ্ছাকৃতভাবে পহেলগাঁওয়ের বাইসারান ভ্যালিকে বেছে নেওয়া হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে
  • এটি একটি বিখ্যাত পর্যটন স্পট, যা 'মিনি সুইজারল্যান্ড' নামে পরিচিত

সন্ত্রাসবাদের কাছে ভারত কোনওভাবেই মাথানত করবে না। পহেলগাঁওয়ে পৌঁছে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি আরও বলেন, কোনও অবস্থাতেই অপরাধীদের রেহাই দেওয়া হবে না। বুধবার অমিত শাহ শ্রীনগরে পৌঁছে হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বলেছেন যে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে তিনি হামলার শিকারদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ভারত সন্ত্রাসবাদের কাছে মাথা নত করবে না। এই কাপুরুষোচিত হামলার অপরাধীরা রেহাই পাবে না। এর পরে তিনি পহেলগাঁওয়ের বাইসারনের ঘটনাস্থলে পৌঁছন।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিহতদের পরিবারের অনেকেই জানিয়েছেন যে ধর্ম জেনে বেছে বেছে গুলি করেছে জঙ্গিরা। হিন্দু ধর্ম জানতে পারার পরেই এতজন মানুষকে গুলি করা হয়েছে। নিহত এক যুবকের স্ত্রী জানিয়েছেন, পর্যটকদের নাম জিজ্ঞাসা করে, তাদের ধর্ম পরিচয় যাচাই করে গুলি করা হয়েছে।

হামলার প্রাথমিক তদন্তে আরও কয়েকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। জানা যাচ্ছে, এই হামলায় পাকিস্তানি ও স্থানীয় কাশ্মীরি সন্ত্রাসবাদীরা যৌথভাবে চালিয়েছে। এক জঙ্গির প্রথম ছবি সামনে এসেছে। এই ছবিটি ঘটনাস্থলের, যেখানে এক জঙ্গিকে হাতে বন্দুক ধরে আছে। যদিও ছবিতে জঙ্গির মুখ দেখা যাচ্ছে না। জানা গিয়েছে, জঙ্গিরা হেলমেট লাগানো ক্যামেরা পরে ছিল। যাতে তারা ঘটনার পুরো দৃশ্য ভিডিও করতে পারে। তিনজন জঙ্গি পর্যটকদের এক জায়গায় জড়ো করে। এরপর পুরুষ ও মহিলাদের আলাদা করা হয়। তারপর সবার পরিচয় জানে জঙ্গিরা। কিছু লোককে দূর থেকে গুলি করা হয়েছিল, আবার কিছু লোককে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়েছিল। বেশিরভাগ লোক অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মারা যান।

সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর যে তথ্যটি জানা যাচ্ছে তা হল উদ্ধারকাজে সময় লাগবে এবং হতাহতের সংখ্যা সর্বাধিক হবে জেনেই ইচ্ছাকৃতভাবে পহেলগাঁওয়ের বাইসারান ভ্যালিকে বেছে নেওয়া হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এটি একটি বিখ্যাত পর্যটন স্পট, যা 'মিনি সুইজারল্যান্ড' নামে পরিচিত। বাইসারানকে আক্রমণের জন্য বেছে নিয়েছিল কারণ এই এলাকায় কোনও নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন ছিল না। জঙ্গিরা লুকোনোর জন্য ঘন জঙ্গলে আস্তানা তৈরি করেছিল। স্থানীয় জঙ্গিদের সাহায্যে তারা সম্ভবত এখন তাদের অবস্থানও পরিবর্তন করে ফেলেছে। এলাকায় সক্রিয় মোবাইল নম্বরগুলির সম্পূর্ণ বিবরণ জানতে পুলিশ টেলিকম কোম্পানিগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। পাল্টা হামলার জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ঘন বন এবং পাহাড়ে জঙ্গিদের খুঁজে বের করার জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। উন্নত রাডার ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি এমন একটি রাডার, যার মাধ্যমে ঘন বনে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসবাদীদের গতিবিধি সহজেই শনাক্ত করা যায়।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement