আজ বিহারের ফলপ্রকাশ।মাঝের কয়েকটা মাস বাদ দিলে সেই ২০০৫ সাল থেকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সেই ক্ষমতা কি ধরে রাখতে পারবেন? নাকি বিহারে এবার বদল? সব কটি বুথফেরত সমীক্ষাই আভাস দিয়েছে, ক্ষমতায় ফিরছে এনডিএ। তবে সমীক্ষা যে মিলবে, এমনটা হলফ করে কেউ বলতে পারে না। সদ্য লোকসভা ভোটেই একাধিক সমীক্ষার ফল মেলেনি। শুক্রবার ইভিএম খোলার পরই স্পষ্ট হয়ে যাবে, পাটলিপুত্রের কুর্সিতে কে বসবেন?
গত বিধানসভা ভোট, মানে ২০২০ সালে নীতীশের দল জেডিইউ পেয়েছিল ৪৩টি আসন। বিজেপির আসন সংখ্যা ৭৪। আর ৭৫টি আসন পেয়ে এককসংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েছিল লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি। ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় এবার ভোটের হার প্রায় ৬৭ শতাংশ। ৫ বছর আগে ছিল ৫৭ শতাংশ। অর্থাৎ ১০ শতাংশ ভোটদানের হার বৃদ্ধি। ফলে এবার খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে এই বর্ধিত হারই। তার উপরে এবার আরও খেলোয়াড় মাঠে নেমেছেন। ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরের জনসুরাজ ভোট কেটে কার যাত্রাভঙ্গ করে সেটাই দেখার।
এবার মূলত দুটি ইস্যু প্রাধান্য পেয়েছে ভোটের ময়দানে। বিজেপি ও জেডিইউ নেতারা ক্রমাগত জঙ্গলরাজের কথা তুলে প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন। মনে করিয়ে দিয়েছেন, লালু জমানার সেই সব দিনের কথা। রাহাজানি, অপহরণ, খুন- যখন সাধারণ ব্যাপার ছিল বিহারে। অন্যদিকে, তেজস্বীর প্রচারে অগ্রাধিকার পেয়েছে সব ঘরে সরকারি চাকরি। সেই সঙ্গে একাধিক সরকারি জনমোহিনী প্রকল্প।
১৪ নভেম্বর, শুক্রবার সকাল ৮টায় পোস্টাল ব্যালট গণনা শুরু হবে। তারপরে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হবে ইভিএম খোলা। ইভিএম গণনার চূড়ান্ত রাউন্ডের আগে পোস্টাল ব্যালট গণনা শেষ করতে হবে। ইভিএম গণনার সময় অসঙ্গতি থাকলে দেখা হবে ভিভিপ্যাট স্লিপ। নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ফল https://results.eci.gov.in-তে পাওয়া যাবে। এবার ভোটের হার ৬৭.১৩%। ১৯৫১ সালের পর থেকে এটাই সর্বোচ্চ ভোটাদান বিহারে। এখনও পর্যন্ত ২,৬১৬ জন প্রার্থীর কেউই পুনর্নির্বাচনের দাবি করেননি। ১২টি স্বীকৃত রাজনৈতিক দলও চায়নি পুনর্নির্বাচন।