জাতিভিত্তিক জনগণনার পরিসংখ্যান প্রকাশ করল বিহার সরকার। আর তাতে দেখা যাচ্ছে, সেই রাজ্যে ৩৬ শতাংশ অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণি, ২৭ শতাংশ অনগ্রসর শ্রেণি, ১৯ শতাংশের সামান্য বেশি তপশিলি জাতি এবং ১.৬৮ শতাংশ তফসিলি উপজাতি জনসংখ্যা রয়েছে।
সম্প্রতি বিহারে জাতিভিত্তিক গণনার কাজ শেষ করেছে নীতীশ সরকার। সোমবার রাজ্যের মুখ্যসচিব ও অন্যান্য আধিকারিকরা রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। বিহার সরকারের আদমশুমারি অনুযায়ী, সেখানকার মোট জনসংখ্যা ১৩ কোটিরও বেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আধিকারিকদের মতে, জাতভিত্তিক গণনায় মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৭ লাখ ২৫ হাজার ৩১০।
উচ্চবর্ণের সংখ্যা ১৫ শতাংশেরও বেশি
বিহার সরকারের গণনা প্রকাশ করে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যসচিব বিবেক সিং। তিনি বলেন, বিহারে উচ্চবর্ণের(সবর্ণ) হার ১৫.৫২ শতাংশ। ব্রাহ্মণ ৩.৬৬ শতাংশ। কুর্মি জনজাতির মানুষের জনসংখ্যা ২.৮৭ শতাংশ, মুসাহার ৩ শতাংশ, যাদব ১৪ শতাংশ এবং রাজপুত ৩.৪৫ শতাংশ। .
রাহুল গান্ধীও সম্প্রতি জাতিশুমারির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী মধ্যপ্রদেশে জাতিশুমারির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের অন্যতম চাহিদা হল জাতিশুমারি। কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর আমরা প্রথমেই জাতিশুমারি করব।