জেডি(ইউ) সুপ্রিমো নীতীশ কুমার বিজেপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটে (এনডিএ) ফিরে গিয়েছেন। এই আবহে বিহার লোকসভা নির্বাচনে ৪০ টি আসনের মধ্যে ৩২ টি আসনে জয়লাভ করতে পারে এনডিএ। সংখ্যাটা গতবারের তুলনায় কম। ইন্ডিয়া টুডের মুড অব দ্য নেশন জনমত সমীক্ষায় এমনটাই উঠে আসছে। অন্যদিকে কংগ্রেস, লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডি এবং বামপন্থীদের নিয়ে গঠিত ইন্ডিয়া ব্লক তাদের সংখ্যা বাড়াতে পারে এবং ৮টি আসন জিততে পারে।
দ্য মুড অফ দ্য নেশনের ফেব্রুয়ারি ২০২৪ এডিশনটি সমস্ত লোকসভা আসনের ৩৫,৮০১ জন উত্তরদাতার ওপর করা সমীক্ষার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। পোলটি ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ এবং ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪-এর মধ্যে পরিচালিত হয়েছিল৷ তবে বিশেষ সতর্কীকরণ, ওপেনিয়ন পোল বাস্তবের সঙ্গে নাও মিলতে পারে৷
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ থেকে ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪-এর মধ্যে দ্য মুড অফ দ্য নেশন পোল পরিচালিত হয়েছিল এবং তাই, গত কয়েক সপ্তাহের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বিকাশ এবং জোটের পাটিগণিতের প্রভাব এতে নেই।
২০১৯ সালে, বিজেপি, জেডি(ইউ) এবং অবিভক্ত লোক জনশক্তি পার্টি (এলজেপি) একসঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, ৪০টি আসনের মধ্যে ৩৯ টি আসন জিতেছিল। বিজেপি ১৭টি, জেডি(ইউ) ১৬টি এবং এলজেপি ৬টি আসন জিতেছিল, যা বিরোধীদের কাছে বড় ধাক্কা ছিল। কংগ্রেস মাত্র একটি আসন জিতেছিল, আরজেডি ছিল শূন্য।
ভোট ভাগের পরিপ্রেক্ষিতে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ ৫৩ শতাংশের ভোট পেয়েছিল, এবার সেখান থেকে সামান্য কমে ৫২ শতাংশ হতেপারে। ২০১৯ সালে প্রাপ্ত ৩১ শতাংশের থেকে ভোটের ভাগ এবার ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে বিরোধী ব্লকের। অনুমানগুলি আরও দেখায় যে প্রায় আট বছরে চতুর্থবার নীতীশ কুমারের রাজনৈতিক ডিগবাজি - এনডিএ এবং ইন্ডিয়া উভয় শিবিরে পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন করার সম্ভাবনা নেই৷
এবার বিহারে এনডিএর আসন ভাগাভাগির আলোচনার সময় বেশ কয়েকটি ছোট দলকে জায়গা দিতে হবে। যদিও নীতীশ কুমারের জেডি(ইউ) ২০১৯ সালে এনডিএর অংশ ছিল। পাশাপাশি এলজেপি আর একক দল নয়। দুটি উপদল রয়েছে - একটি চিরাগ পাসোয়ানের নেতৃত্বে এবং অন্যটি তার কাকা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পশুপতি কুমার পারসের। তাছাড়া জিতন রাম মাঞ্জির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (ধর্মনিরপেক্ষ) এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক জনতা দলও এখন বিজেপির সঙ্গে রয়েছে। বিজেপি এবং জেডি(ইউ) তার মিত্রদের জায়গা করে দেওয়ার জন্য কম সংখ্যক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নেয় কিনা তা দেখার বিষয়।