বন্দে মাতরকম নিয়ে সুভাষকে কী বলেছিলেন নেহরু'বন্দে মাতরম' গানটির ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে দেশজুড়ে। তার মাঝেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল BJP। নিশানায় সেই জওহরলাল নেহরু। কংগ্রেস এই গানটিকে ঐতিহাসিক ভাবে নষ্ট করেছে এবং তার নেপথ্যে ছিলেন নেহরু, এমনটাই অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের।
BJP-র জাতীয় মুখপাত্র সিআর কেসবন এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে অভিযোগ তুলেছেন, জওহরলাল নেহরুর সময়কালে, ১৯৩৭ সালে 'বন্দে মাতরম'-এর একটি অংশ মাত্র নেওয়া হয়েছিল। মা দুর্গাকে নিয়ে লেখা অংশগুলি ইচ্ছাকৃত ভাবে বাদ দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি তাঁর।
BJP মুখপাত্র লেখেন, 'তরুণ প্রজন্মের জানা উচিত, কীভাবে কংগ্রেস নিজেদের সাম্প্রদায়িক অ্যাজেন্ডা জারি রেখেছিল। কংগ্রেসের ফইজপুর অধিবেশনে বন্দে মাতরমের কেবলমাত্র একটি অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। গৌরবের বন্দে মাতরম ছিল ভারতের একতার সুর, সৌভ্রাতৃত্বের স্বর। এই গান আমাদের মাতৃভূমির পরিচয় বহন করে, জাতীয়তাবাদের অনুভূতি জোগায়, দেশপ্রেম জাগায়। কিন্তু কংগ্রেস ঐতিহাসিক পাপ করেছিল। এই গানকে ধর্মের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে জঘন্য অপরাধ করেছিল তারা। নেহরুর নেতৃত্বে কংগ্রেস ইচ্ছাকৃত ভাবে বন্দে মাতরমের সেই প্যারাগুলি বাদ দিয়েছিল যেখানে মা দুর্গার কথা উল্লেখ ছিল।'
১৯৩৭ সালে সুভাষচন্দ্র বসুকে লেখা নেহরুর একটি চিঠির কথা উল্লেখ করে BJP-র অভিযোগ, 'মুসলিমদের রাগাতেই এই গান লেখা হয়েছিল বলে ওই চিঠিতে লিখেছিলেন নেহরু। এটা ঐতিহাসিক অপরাধ। গানটির জাতীয় গুরুত্ব নষ্ট করেছেন তিনি।' BJP মুখপাত্রের আরও দাবি, '১৯৩৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর লেখা ওই চিঠি নেহরু বলেছিলেন, কেউ যদি মনে করেন বন্দে মাতরমের কোনও লাইনের সঙ্গে দেবীর সম্পর্ক আছে তাহলে তা সম্পূর্ণ ভুল।'
বন্দে মাতরম জাতীয় গানের তকমা পাওয়ার যোগ্য নয় বলেও উল্লেখ করেছিলেন জওহরলাল নেহরু, দাবি BJP-র। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু অবশ্য বন্দে মাতরমের সম্পূর্ণ গানটি নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলেন।
নেহরুর 'হিন্দু বিরোধী' মানসিকতা রাহুল গান্ধীর মধ্যেই সঞ্চারিত হয়েছে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির। তিনি সম্প্রতি ছট পুজোকে অসম্মান জানিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেছে BJP।