বিহারের বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তার পর থেকেই রাজনৈতিক দলগুলি আসন ভাগের কাজে লেগে পড়ছে। এই যেমন শোনা যাচ্ছে, বিহারে নাকি BJP এবং JDU-এর মধ্যে ৫০-৫০ শতাংশ হারে আসন ভাগ হবে। এক্ষেত্রে ২০৫টি আসন এই দুই দলের মধ্যে ভাগ হতে চলেছে বলে খবর। যদিও কিছু ক্ষেত্রে কারও আসন বাড়তে বা কমতে পারে।
তবে বিহার ভোটে NDA-এর কিছু ছোট শরিক রয়েছে। আর তাদের জন্য ৩৮টি আসন ছাড়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। যতদূর খবর, চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টিকে ২৫টি সিট দেওয়ার কথা ভাবছে BJP। আর বাদবাকি সিট হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা ও রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টির মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।
এক্ষেত্রে জিতেন রামের HAM-কে ৭টি এবং ৬টি সিট উপেন্দ্র কুশওয়াহর RLM-কে দেওয়া হবে বলেই খবর।
এখনও কথা চলছে চিরাগ পাশওয়ানের সঙ্গে
চিরাগ পাশওয়ানের সঙ্গে এখনও কথা বলে চলেছে NDA-এর কর্তাদের। কারণ, LJP নেতা এখনও নিজের পছন্দের কেন্দ্রগুলিতে লড়ার জন্য বদ্ধপরিকর। এমনকী তিনি কয়েকটি আসন বাড়ানোর জন্য দরকষাকষি শুরু করে দিয়েছেন। আর যদি সত্যিই চিরাগের আসন বেড়ে যায়, তাহলে অন্যান্য দলের আসন কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। তখন আবার নতুন করে ঝামেলা হতে পারে।
তাদের অন্য ভাবে পুষিয়ে দেবে BJP
আসন সংখ্যা কমতে থাকলে ছোট শরিকরা বিদ্রোহ ঘোষণা করতে পারে। আর এই বিষয়টা খুব ভালো করেই জানে NDA। তাই তাদের পক্ষ থেকে এখানে সিট না দিলেও রাজ্য সভা এবং লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে দেওয়া হবে সিট।
ভোট ঘোষণা কবে?
সোমবার ২০২৫ বিহার বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এই ইলেকশন দুই দফায় হবে। প্রথম দফায় ভোট হবে ১৪ নভেম্বর। আর দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ২২ নভেম্বর।
বর্তমানে কী পরিস্থিতি?
এখন এনডিএ জোট ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। এই জোটের মূল শরিক মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জেডিইউ এবং মোদীর বিজেপি। তারাই আপাতত ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। অন্যদিকে বিরোধী মহাজোটে রয়েছে আরজেডি, কংগ্রেস এবং বাম দলগুলি। এছাড়া এ বার আম আদমি পার্টিও বিহারে প্রবেশ করছে। তারা ২৪৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে খবর। এমন পরিস্থিতিতে যে বিজেপি আপাতত চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে, সেই কথা তো বলাই বাহুল্য!