উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি
করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। গোটা দেশে লাফিয়ে নামছে সংক্রমণের হার। সেই সঙ্গেই উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে নড়েচড়ে বসার শুরু করেছে বিজেপি। বাংলায় তীব্র লড়াই ফিরিয়ে দিয়েও মসনদের ধারে কাছে আসতে পারেনি গেরুয়া বাহিনী। হাতে থাকা উত্তরপ্রদেশ যাতে অন্তত হাতছাড়া না হয়, সে বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে দলের তরফে।
বিজেপির অন্তর্তদন্তে আইপ্যাকের প্রভাব!
অনেকটা বাংলায় ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাকের ঢঙেই উত্তরপ্রদেশে বুথ স্তর থেকে বিধায়কদের পারফরম্যান্স রিপোর্ট সংগ্রহ করা হচ্ছে। তার ভিত্তিতেই পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট মিলবে কি না, তা নির্ভর করবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
কীভাবে পারফরম্যান্স যাচাই করা হচ্ছে
কীভাবে পারফরম্যান্স যাচাই করা হচ্ছে, তার একটা ধারণাও মিলেছে দলীয় তরফে। রিপোর্ট কার্ডে এক্সেলেন্ট, গুড এবং অ্যাভারেজ কলাম রয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, অ্যাভারেজের তালিকায় থাকা বিধায়কদের আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী নাও করা হতে পারে।
শেষ সুযোগ মিলবে রুগ্ন বিধায়কদের
তবে তাঁদের একটা সুযোগ দেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। যাদের অ্যাভারেজ তালিকায় নাম থাকবে তাঁদের আগামী চার-পাঁচ মাসে ঝাঁপিয়ে পড়ে মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দেওয়া হবে দলীয় তরফে বলে জানা গিয়েছে। শুধু কাজই নয় বিজেপির ভালো কাজ এবং তার নিজের সুকর্মের ব্যাপক প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বর্ষার পরই রিভিউ মিটিং
আসন্ন বর্ষার মৌসুম পার হলেই প্রার্থীদের নিয়ে রিভিউ মিটিং হবে বলে জানা গিয়েছে তাতে পারফরমেন্স রিপোর্ট নিয়ে বসা হবে। আগামী দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে সমস্ত বিধায়কের রিপোর্ট কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাতে চলে আসবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। পাশাপাশি সরাসরি বিধায়কদের কাছ থেকেও কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক নেতৃত্বরা ফিডব্যাক নেবেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। কোনও ভাবেই যাতে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতাচ্যুত হতে না হয়, সে বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে মরিয়া পদ্মফুল শিবির।
টেনশন বিজেপি শিবিরে
রাজ্যে শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর বিজেপির টেনশন বেড়েছে বহুগুণ। পঞ্চায়েতে যা ফল মিলেছে, প্রত্যাশার চেয়ে অনেকটাই খারাপ। যা বিজেপি নেতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। সম্প্রতি বিজেপির সংগঠন মন্ত্রী বিএল সন্তোষ তিন দিনের লখনউ সফর করে তাঁর বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিয়েছেন দলীয় হাইকমান্ডের কাছে।