একেই বলে একঢিলে দুই পাখি মারা। তাঁর দল বিজেপি ভালো ফল করতে পারেনি তেলেঙ্গানায়। তিনি জিতেছেন। আর জিতেই শিরোনামে কাতিপল্লি ভেঙ্কট রামন রেড্ডি। দেশজুড়ে এখন KVR নামেই পরিচিতি পেয়ে গিয়েছেন। কারণ, তেলেঙ্গানার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী দুই মুখ্যমন্ত্রীকেই হারিয়ে এখন যেন তিনি জায়ান্ট কিলার। অনেকেই আবার তাঁকে বাংলার শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তুলনা করতেও শুরু করেছেন। কারণ, গত বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রাম সিটে তিনি হারিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
তেলেঙ্গানার কামারেড্ডি আসনে কংগ্রেস এবং বিআরএস দুই দলের প্রার্থী ছিলেন যথাক্রমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও এবং রাজ্য কংগ্রেসের প্রধান তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এ রেবন্ত রেড্ডি। তাঁদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন KVR। আর দুই জনকেই পরাজিত করেছেন তিনি।
BRS জিতলে সেই রাজ্যে ফের মুখ্যমন্ত্রী হতেন কে চন্দ্রশেখর রাও। তিনি পরাজিত হয়েছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেছিলেন কংগ্রেস জিতলে তেলেঙ্গানায় কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী করতে পারে এ রেবন্ত রেড্ডি-কে।
এদিকে সূত্রের খবর, এ রেবন্ত রেড্ডিকেই মুখ্যমন্ত্রী করতে চলেছে কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে তাঁকে আগামী ৬ মাসের মধ্যে অন্য কোনও আসন থেকে জিতে আসতেই হবে।
৫৩ বছর বয়সি KVR পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪৯ কোটি টাকা। তিনি সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫৩ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে ছিলেন। সেখানে কেসিআর পেয়েছেন ৫০ হাজারের কিছু বেশি ভোট। যদিও অন্য একটি আসনে তিনি এগিয়ে ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থান এই তিন রাজ্যে বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি। নিজের বক্তব্যে উত্তরের তিনটি রাজ্যকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন "সুশাসন ও উন্নয়নের রাজনীতিতে" জনগণের বিশ্বাসের প্রমাণিত হয়েছে। তবে দক্ষিণের রাজ্য তেলেঙ্গানায় দাঁত বসাতে পারেনি গেরুয়া শিবির। সেখানে জিতেছে কংগ্রেস। ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে বিআরএস।