কেরলের ওয়েনাডের ঘটনায় প্রবীণ বিজেপি নেতা জ্ঞানদেব আহুজার বক্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তিনি দাবি করেছেন, কেরলে গোহত্যা হয়। সেই কারণেই সেখানে এমন ঘটনা ঘটেছে। তাঁর আরও দাবি, যেখানেই গোহত্যা হবে সেখানে এই রকম ঘটনা ঘটতে থাকবে। তাহলে হিমাচলপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে ধস কীভাবে হয়? তাঁর ব্যাখ্যা, ধসের ঘটনা ওই দুই রাজ্যে নিত্য নৈমিত্তিক। সেখানে মেঘভাঙা বৃষ্টি হলেও ওয়ানাডের মতো ঘটনা ঘটে না।
প্রবীণ বিজেপি নেতা জ্ঞানদেব আহুজার দাবি,কেরলে গোহত্যা বন্ধ না হলে একই রকম ঘটনা ঘটবে। তিনি বলেন,'২০১৮ সাল থেকে ওই রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। ভারতের যে কোনো স্থানে যেখানে গোমাতা হত্যা করা হবে সেখানেই একই রকম পরিস্থিতি তৈরি হবে। উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশেও ঘটনা ঘটলেও ওয়ানাডের মতো পরিস্থিতি নয়'।
গত ৩০ জুলাই কেরলের ওয়েনাড জেলায় মুন্ডক্কাই, চুরামালালা এবং মেপ্পাদির মতো গ্রামে বেশ কয়েকটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৫৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও ৪০০ জন নিখোঁজ। তাঁদের খোঁজ করা হচ্ছে। ওয়েনাডের অতিরিক্ত ডিজিপি বলেন,'উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। ৬টি দল উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। পাঁচটি দল আশেপাশের এলাকায় মোতায়েন। আর একটি দল জলাভূমিগুলিতে তল্লাশি চালাচ্ছে'।
উদ্ধার অভিযানে গতি আনার জন্য ডিপ সার্চ রাডারের আবেদন করেছিল কেরল সরকার। উত্তর কমান্ডের একটি জাওয়ার রাডার এবং দিল্লির ট্রাইকোলার মাউন্টেন রেসকিউ অর্গানাইজেশন থেকে চারটি রিকো রাডার শনিবার বিমানবাহিনীর বিমানের মাধ্যমে ওয়ানাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
কেরলে চারটি শিশুকে উদ্ধার করেছে বন দফতর। বৃহস্পতিবার কালপেট্টা রেঞ্জ ফরেস্ট অফিসার কে হাশিসের নেতৃত্বে একটি দল আদিবাসী পরিবারকে উদ্ধার করতে জঙ্গলে গিয়েছিল। বিপজ্জনক খাড়াই পথে ১ থেকে ৪ বছরের চারটি শিশুকে উদ্ধার করে তারা।