বিজেপি সাংসদ ও রেসলিং ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রদর্শনে বহাল কুস্তিগীররা। সম্প্রতি, সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের পরে, দিল্লি পুলিশও কুস্তিগীরদের অভিযোগে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার ২টি মামলা দায়ের করেছিল। দিল্লির কনট প্লেস থানায় দায়ের করা এফআইআরের বিবরণ সামনে এসেছে। এফআইআর-এ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা, ভুলভাবে স্পর্শ সহ অনেক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
গত ২১ এপ্রিল কনট প্লেস থানায় ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ৭ কুস্তিগীর অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে, ২৮ এপ্রিল দিল্লি পুলিশ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির দুটি মামলা নথিভুক্ত করে। প্রথম এফআইআরটি নাবালিকার করা অভিযোগের ভিত্তিতে করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যেখানে, দ্বিতীয় এফআইআর অন্যান্য কুস্তিগীরদের করা যৌন হয়রানির অভিযোগের।
FIR-এ ব্রজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ
- আইপিসি ধারা ৩৫৪, ৩৫৪ এ (যৌন হয়রানি), ৩৫৪ ডি (স্টকিং) এবং ৩৪ (সাধারণ উদ্দেশ্য) উভয় এফআইআর-এ উদ্ধৃত করা হয়েছে, যেখানে শাস্তি এক থেকে তিন বছরের জেল হয়।
- দ্বিতীয় এফআইআরটি একটি নাবালিকার বাবার অভিযোগের উপর ভিত্তিতে হয়েছে। POCSO আইনের ১০ ধারায় পাঁচ থেকে সাত বছরের কারাদণ্ড হয়।
নাবালিকার অভিযোগে কী বলেছেন?
- অভিযোগ ব্রিজভূষণ অভিযুক্তকে শক্ত করে ধরে রাখে, ছবি তোলার ভান করে, তার দিকে টেনে নেয়, কাঁধে জোরে চাপ দেয় ইচ্ছাকৃতভাবে। তার শরীরে ভুলভাবে স্পর্শ করে। যদিও অভিযোগকারি বারবার হুঁশিয়ার করে তার সঙ্গে এই কাজ যেন না করে।
৬ মহিলা কুস্তিগীরের অভিযোগ
প্রথম অভিযোগ- হোটেল রেস্তরাঁয় ডিনারের সময় আমাকে তার ডাকা হয় তার টেবিলে, আমাকে স্পর্শ করা হয়। আমার অনুমতি ছাড়াই রেসলিং ফেডারেশন অফিসে আমার হাঁটু, কাঁধ ও হাতের তালু স্পর্শ করে।
দ্বিতীয় অভিযোগ- আমি যখন মাদুরে শুয়ে ছিলাম, অভিযুক্ত (ব্রিজভূষণ সিং) আমার কাছে এসেছিলেন, আমার কোচ সেখানে ছিলেন না, আমার অনুমতি ছাড়াই আমার টি-শার্ট টেনে নিয়েছিলেন, আমার গায়ে হাত রেখে আমার নিঃশ্বাস চেক করতে শুরু করে। আমি ফেডারেশনের অফিসে ভাইয়ের সঙ্গে ছিলাম, আমাকে ফোন করা হয়েছিল এবং আমার ভাইকে থাকতে বলা হয়েছিল, তারপর আমাকে রুমে টেনে নিয়ে জোর করার চেষ্টা করে।
তৃতীয় অভিযোগ- তিনি আমাকে আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে বলে কারণ তখন আমার কাছে আমার মোবাইল ফোন ছিল না। আমাকে তার বিছানার দিকে ডাকে, আমার অনুমতি ছাড়াই, সে আমাকে জড়িয়ে ধরে। তার যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য আমাকে সাপ্লিমেন্ট কেনার প্রস্তাব দিয়ে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
চতুর্থ অভিযোগ- ব্রিজভূষণ সিং আমাকে ডেকে আমার টি-শার্ট টেনে আমার পেটের নীচে হাত দিয়েছিল। আমার নি:শ্বাস চেক করার অজুহাতে আমার পেটে হাত দেওয়া হয়।
পঞ্চম অভিযোগ- আমি লাইনের পিছনে ছিলাম, তারপর ভুলভাবে স্পর্শ করে, যখন আমি সরে যাওয়ার চেষ্টা করি, আমার কাঁধ চেপে ধরে।
ষষ্ঠ অভিযোগ- ছবির অজুহাতে কাঁধে হাত রাখে তখন আমি প্রতিবাদ করি।