হিমাচলের মান্ডি লোকসভা আসনের বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত সম্প্রতি একটি সাক্ষাতকারে কৃষকদের আন্দোলন সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তার এই বক্তব্যের পর বিরোধীরা বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে এবং কঙ্গনার বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করার দাবি জানায়। বিতর্ক বাড়তে শুরু করায় আসরে নামে বিজেপি। দলের তরফে কঙ্গনার করা মন্তব্যে আপত্তি জানিয়ে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়েছে যে কঙ্গনাকে ভবিষ্যতে এমন কোনও বিবৃতি না দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আসলে, কঙ্গনা রানাউত একটি সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন যে আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব শক্তিশালী না হলে কৃষকদের আন্দোলনের সময় পঞ্জাব বাংলাদেশে পরিণত হত। কঙ্গনা রানাউতের এই বক্তব্যকে বিরোধীরা লাগাতার আক্রমণ শুরু করেছে। কঙ্গনার বিরুদ্ধে NSA-এর অধীনে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। একই সময়ে, বিজেপিও কঙ্গনার বক্তব্য থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে বলেছে যে এটি তার ব্যক্তিগত বক্তব্য এবং এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।
কঙ্গনার বিতর্কিত বক্তব্য নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় মিডিয়া বিভাগ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, "কৃষকদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা দলের মতামত নয়। কঙ্গনা রানাউতের বক্তব্যের সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টি দ্বিমত প্রকাশ করেছে। কঙ্গনা রানাউতকে ভবিষ্যতে এমন কোনও বিবৃতি না দেওয়ার জন্য বিজেপি নির্দেশ দিয়েছে।
কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে কী বললেন কঙ্গনা রানাউত?
একটি মিডিয়া সাক্ষাৎকারে বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত বলেছিলেন যে আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব দুর্বল হলে বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি ভারতে ঘটতে পারত। কৃষকদের আন্দোলনের সময় যা হয়েছে তা সবাই দেখেছে। বিক্ষোভের নামে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে ধর্ষণ হচ্ছিল, মানুষ খুন করে ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে। কৃষি আইন প্রত্যাহারের কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে কঙ্গনা বলেছিলেন যে যখন বিলটি প্রত্যাহার করা হয়েছিল, তখন সমস্ত দুষ্কৃতীরা হতবাক হয়ে গিয়েছিল। কারণ তার পরিকল্পনা ছিল অনেক দীর্ঘ।
প্রশ্ন তুলেছিল কংগ্রেস
কঙ্গনার এই বক্তব্যকে নিশানা করেছে বিরোধী দলগুলো। পঞ্জাব কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন মন্ত্রী রাজকুমার ভার্কা, কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে এফআইআর করা এবং NSA-এর অধীনে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, কঙ্গনা পঞ্জাব ও কৃষকদের মানহানি করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে তাকে ডিব্রুগড় জেলে পাঠানো উচিত। ভার্কা বলেন, কঙ্গনা প্রতিদিনই পাঞ্জাবের নেতা ও কৃষকদের নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।