বিপিএসসি পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে রণক্ষেত্র পটনা। বিক্ষোভকারীদের উপর বিহার পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, জেপি গোলম্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন পরীক্ষার্থীরা। এই ঠান্ডায় বিক্ষোভকারীদের উপর জলকামানও চালিয়েছে প্রশাসন। মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ।
গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন বিক্ষোভকারীরা। হাতে তেরঙা। পরীক্ষার্থীদের দাবি, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের উপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এই শীতে জলও ব্যবহার করা হয়েছে।
'কোনও লাঠিচার্জ হয়নি'
পটনা সেন্ট্রাল পুলিশ সুপার সুইটি সেহরাওয়াত বলেন, 'কোনও লাঠিচার্জ হয়নি, তাঁদের বারবার অনুরোধ করা হয়েছিল এখান থেকে সরে যেতে... । তাঁরা অনড় থাকেন। শেষ পর্যন্ত আমরা জলকামান ব্যবহার করতে বাধ্য হই। তারপরও তাঁরা সরে যাননি। আমরা ওই জায়গাটি দ্রুত খালি করছি।'
বলে রাখি, বিহারে বেশ কয়েকদিনের ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিএসসি পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু নীতীশ কুমার সরকারের তরফে কোনও বার্তা আসেনি বলে দাবি বিক্ষোভকারীদের। এরপর প্রশান্ত কিশোর সচিবালয়ের উদ্দেশে পদযাত্রার ঘোষণা করেন। গান্ধী ময়দান থেকে বেরোন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের থামাতে বিহার পুলিশ কয়েক স্তরে ব্যারিকেডও তৈরি করে। একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান পরীক্ষার্থীরা। হোটেল মৌর্যের কাছে ব্যারিকেড ভাঙার পর পুলিশ পদক্ষেপ করে।
গান্ধী ময়দানে প্রশান্ত কিশোর বলেন,'একদিনের জন্য স্লোগান দিয়ে কিছুই অর্জন করা যাবে না। বিহারে বহু বছর ধরে ছাত্রদের জীবন নষ্ট করা হচ্ছে। এই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। এর শেষ দেখে ছাড়ব।' কৃষকদের আন্দোলনের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন,'কৃষকরা বছরের পর বছর ধরে দিল্লিতে অবস্থান করেছিলেন। তার ফল মিলেছিল'।
প্রশান্ত আরও বলেন,'বিহারে আবাসিক নীতি, প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং চাকরির দুর্নীতি থেকে মুক্তি পেতে গেলে ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামতে হবে'। সরকারের সঙ্গে আলোচনার পরই আন্দোলনের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।