Brahmos Missile : এক মিসাইলে নিশ্চিহ্ন হবে শত্রু দেশ, নয়া ব্রহ্মোস আনছে ভারত, রেঞ্জে গোটা পাকিস্তান

আরও শক্তি বাড়াচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। আর মাত্র ২ বছরের মধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপনাস্ত্র। সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২৭ সালে ক্ষেপনাস্ত্রটি সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হয়ে যাবে।

Advertisement
এক মিসাইলে নিশ্চিহ্ন হবে শত্রু দেশ, নয়া ব্রহ্মোস আনছে ভারত, রেঞ্জে গোটা পাকিস্তান  ছবি সৌজন্য : ইন্ডিয়ান নেভি
হাইলাইটস
  • আরও শক্তি বাড়াচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী
  • আর মাত্র ২ বছরের মধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপনাস্ত্র

আরও শক্তি বাড়াচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। আর মাত্র ২ বছরের মধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপনাস্ত্র। সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২৭ সালে ক্ষেপনাস্ত্রটি সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হয়ে যাবে। আবার ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি পাল্লার অ্যাস্ট্রা এয়ার টু এয়ার ক্ষেপনাস্ত্রটিও ২০২৬-২৭ সালের মধ্যে তৈরির প্রস্তুতি হবে। 

ভারতের হাতে মজুত থাকা অস্ত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম ব্রহ্মোস। বর্তমানে এর গতিবেগ ৩৪২৪ কিমি/ঘণ্টা। যা শব্দের গতির থেকেও তিনগুণ বেশি। রেঞ্জ ৪৫০ কিলোমিটার। তবে নয়া সংস্করণের রেঞ্জ হবে ৮০০ কিলোমিটার। 

৮০০ কিলোমিটার পাল্লার ব্রহ্মোসের জন্য র‍্যামজেট ইঞ্জিন প্রায় প্রস্তুত। তবে এর ক্ষমতা আরও বাড়ানোর জন্য কিছু পরিবর্তন করা হচ্ছে। এই পরীক্ষাগুলি ক্ষেপণাস্ত্রের অভ্যন্তরীণ INS (ইনার্শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম) এবং বহিরাগত GNSS (গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম)-এর সামঞ্জস্যতা যাচাই করবে। লক্ষ্য হল, ক্ষেপণাস্ত্রটি যেন ধারাবাহিকভাবে লক্ষ্যবস্তুতে সঠিকভাবে আঘাত হানতে পারে।

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, যদি এই পরীক্ষাগুলি সফল হয়, তাহলে ক্ষেপণাস্ত্রটি সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হবে। ব্রহ্মোস যুদ্ধজাহাজে মোতায়েন করা থাকে। এই ৮০০ কিলোমিটার রেঞ্জের অস্ত্রকেও জাহাজে মোতায়েন করা হবে। প্রস্তুত রাখা হবে। তবে ক্ষেপণাস্ত্রের মৌলিক নকশা এবং লঞ্চার একই থাকবে।

অপারেশন সিঁদুরের সময়ও ব্রহ্মোস ক্ষেপনাস্ত্র ছো়ড়া হয়েছিল পাকিস্তানকে লক্ষ্য করে। সেবার Su-30MKI যুদ্ধবিমান থেকে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। যা নয়টি জঙ্গিঘাঁটিতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানে। যার প্রশংসা করেছিলেন খোদ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। 

৮০০ কিলোমিটার রেঞ্জের এই ব্রহ্মোসটি প্রলয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (৪০০ কিলোমিটার পাল্লা) এবং নির্ভয় ক্ষেপণাস্ত্রের ডেরিভেটিভস (১,০০০ কিলোমিটার পাল্লা) অন্তর্ভুক্ত থাকবে। IRF ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে। এই ক্ষেপনাস্ত্র তৈরি হলে শত্রুরা যেমন ভয় পাবে তেমনই আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্য আরও এক কদম এগোবে। 

POST A COMMENT
Advertisement