মগজ কুরে কুরে খাচ্ছে অ্য়ামিবা, কেরলে আক্রান্ত ১৮, কী লক্ষণ এই রোগের?

মগজ খেকো অ্যামিবা। কুরে কুরে খেয়ে ফেলে মস্তিষ্কের অলফ্যাক্টরি নার্ভ। এতে মৃত্যু হয় মানুষের। কয়েকদিন আগেই আমেরিকায় একজন মারা গিয়েছে এই অ্যামিবার আক্রমণে। এবার কেরলে এই রোগের হদিশ মিলেছে।

Advertisement
মগজ কুরে কুরে খাচ্ছে অ্য়ামিবা, কেরলে আক্রান্ত ১৮, কী লক্ষণ এই রোগের? Representative Image
হাইলাইটস
  • মগজ খেকো অ্যামিবা
  • কুরে কুরে খেয়ে ফেলে মস্তিষ্কের অলফ্যাক্টরি নার্ভ
  • কেরলে এই রোগে আক্রান্ত ১৮ জন

মগজ খেকো অ্যামিবা। কুরে কুরে খেয়ে ফেলে মস্তিষ্কের অলফ্যাক্টরি নার্ভ। এতে মৃত্যু হয় মানুষের। কয়েকদিন আগেই আমেরিকায় একজন মারা গিয়েছে এই অ্যামিবার আক্রমণে। এবার কেরলে এই রোগের হদিশ মিলেছে। যা নিয়ে সতর্কতা জারি হয়েছে সেখানে। হাসপাতালগুলোকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা কেরলের তিরুবনন্তপুরম, কোল্লাম, কোঝিকোড়, ওয়ানাড় এবং মালাপ্পুরমের বাসিন্দা। সেই রাজ্যের সরকার জনিয়েছে, চলতি বছরেই ৪১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। 

amoebic meningoencephalitis নামের এই রোগটি সাধারণত জল থেকে ছড়ায়। সেজন্য পানীয় জল নিয়ে সচেতনতা শুরু করেছে পিনারাই বিজয়নের সরকার। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই অভিযানের আওতায় ৩০ এবং ৩১ অগাস্ট কেরলজুড়ে কূপগুলিকে ক্লোরিনযুক্ত করা হবে। প্রতিটি বাড়ি ও সরকারি, বেসরকারি অফিসে এই অভিযান চলবে। 

কেন ছড়ায় এই amoebic meningoencephalitis? 

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঘন ঘন আবহাওয়ার পরিবর্তন, তাপমাত্রা ও দূষণের কারণে এই ভাইরাস তৈরি হয়। পুকুর, হ্রদ বা নদী থেকে এর সংক্রমণ ছড়াতে পারে। অপরিশোধিত জলে সাঁতার কাটলে, খেলে এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। সেই জল থেকে ভাইরাস নাক এবং মুখ দিয়ে এই অ্যামিবা মানবদেহে প্রবেশ করে। তার কয়েক দিনের মধ্যেই মস্তিষ্কের অলফ্যাক্টরি নার্ভে আক্রমণ করে অ্যামিবাটি। 

তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগ ধরা পড়তে বেশ সময় লাগে। এর উপসর্গগুলি সাধারণ ব্যাকটিরিয়াল মেনিনজাইটিসের মতো হয়। তাই রোগীকে সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। তবে সঠিক সময়ে ধরা না পড়লে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগীদের মৃত্যু হয়। এতে আক্রান্ত হলে জ্বর, কাশি, পেট খারাপের মতো উপসর্গ দেখা যায়। 

তবে চিকিৎসকরা এও জানাচ্ছেন, আমাদের পরিবেশ থেকে এই অ্যামিবা অপসারণ করা সম্ভব নয়। অনেক সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য জল পরিষ্কার রাখা গুরুত্বপূর্ণ হলেও, তা থেকে অ্যামিবিক মেনিনগোএনসেফালাইটিস নির্মূল করবে না। কোনও ব্যক্তির শরীর থেকে এই অ্যামিবা নির্মূল হলেও পরে ফের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।  

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement