Indian Air Force: ভারত-বাংলাদেশ দ্বন্দ্বের আবহে CAG-সংসদীয় কমিটির রিপোর্টে শঙ্কা, ঘাটতি পাইলট-যুদ্ধবিমানের?

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পাইলট নিয়োগে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সে কারণেই এই ঘাটতি। বাণিজ্যিক এভিয়েশন সেক্টর দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয়ই। সেখানে বেতন-সহ অন্য সুবিধার প্যাকেজ অফার অনেক ভাল।

Advertisement
ভারত-বাংলাদেশ দ্বন্দ্বের আবহে CAG-সংসদীয় কমিটির রিপোর্টে শঙ্কা, ঘাটতি পাইলট-যুদ্ধবিমানের?যুদ্ধ হলে কি ভারতের যুদ্ধবিমান ও পাইলট কম পড়বে? CAG-সংসদীয় কমিটির রিপোর্টে শঙ্কা
হাইলাইটস
  • বিমান বাহিনী বর্তমানে ৩১টি স্কোয়াড্রন রয়েছে
  • যেখানে ৪২টি স্কোয়াড্রন থাকা উচিত

ভারতীয় বিমান বাহিনীতে বর্তমানে পাইলটের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। এটি অপারেশনাল প্রস্তুতির জন্য প্রস্তুতিতে সমস্যা তৈরি করবে। এর অর্থ হঠাত্‍ করেই যদি অনেক ফ্রন্টে প্রয়োজন হয়, তাহলে ভারতীয় বিমানবাহিনীতে পাইলটের অভাব দেখা দেবে। ভারতের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) এই তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংসদীয় কমিটিও এ নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে। এটা বলা হয়েছে যে এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। সিএজি রিপোর্টে ভারতীয় বিমানবাহিনীতে পাইলটের ঘাটতির পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৪৮৬ জন পাইলটের ঘাটতি ছিল। যা ২০২১ সালের শেষের দিকে বেড়ে ৫৯৬-এ দাঁড়িয়েছে। যেখানে ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ২২২ জন ট্রেনি পাইলট নিয়োগের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি বিমানবাহিনী। এখন পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে উঠেছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পাইলট নিয়োগে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সে কারণেই এই ঘাটতি। বাণিজ্যিক এভিয়েশন সেক্টর দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয়ই। সেখানে বেতন-সহ অন্য সুবিধার প্যাকেজ অফার অনেক ভাল। জীবনধারা সুষম এবং স্থিতিশীল। তাই চাকরি থেকে বেরিয়ে এসে সেখানেই যাচ্ছেন অভিজ্ঞ সামরিক পাইলটরা।

IAF Pilot Shortage crisis

নতুন পাইলট তৈরি করা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ

একজন নতুন পাইলটকে প্রশিক্ষণ দিয়ে নতুন পাইলট তৈরি করা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। অনেক সময় লাগে। কখনও কখনও একজন পাইলট প্রস্তুত করতে কয়েক বছর লেগে যায়। তবেই এটি ফ্লাইটের জন্য পুরোপুরি ফিট হয়ে যায়। CAG আরও লিখেছে যে Pilatus PC-7 MK-2 ট্রেনার বিমানের অপারেশনাল সমস্যার কারণে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে না।

IAF Pilot Shortage crisis

৪২টি স্কোয়াড্রন প্রয়োজন, সেখানে মাত্র ৩১টি

সংসদীয় কমিটি পর্যবেক্ষণ করেছে যে প্রতিটি ফাইটার জেটের জন্য পাইলট-টু-সিট অনুপাত ১.২৫:১। যুদ্ধ না চললে সময়ে এটা ভাল। কিন্তু যখন যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়, তখন এই পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। শুধু মানব সম্পদের ঘাটতিই নয়, বিমান বাহিনী বর্তমানে ৩১টি স্কোয়াড্রন রয়েছে। যেখানে ৪২টি স্কোয়াড্রন থাকা উচিত। নতুন বিমান আসতে এবং পুরানোগুলিকে অবসরে পাঠাতে সময় লাগছে। এসবের কারণে ভারতীয় বায়ুসেনার আকাশ যুদ্ধের সক্ষমতা ক্রমাগত ক্ষয় হতে থাকবে। সিএজি এবং সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট সরকারকে এই উভয় দিকেই দ্রুত এবং দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

Advertisement

IAF Pilot Shortage crisis

নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুততর হয়েছে, নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে

এয়ার ফোর্স কমন অ্যাডমিশন টেস্ট (AFCAT) এবং এয়ার ফোর্স সিলেকশন বোর্ড (AFSB) নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেছে। বিমান বাহিনীর সূত্র বলছে, ট্রেনার বিমানের অপারেশনাল বিষয়, প্রশিক্ষণের পরিকাঠামো বৃদ্ধি এবং নতুন নিয়োগের বিষয়ে দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। সংসদীয় কমিটির রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে বিমান বাহিনীর ১৪ শতাংশ কর্মকর্তা মহিলা। তাঁদেরও কমব্যাট সার্ভিসেও রাখা হচ্ছে। যার মধ্যে মহিলা এয়ারম্যান দ্রুত বাড়ছে। অগ্নিবীর স্কিমের অধীনে মহিলাদেরও নিয়োগ করা হচ্ছে।

POST A COMMENT
Advertisement