হিমাচল প্রদেশে আইনসিদ্ধ হতে পারে গাঁজার চাষ। তেমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখুর পক্ষ থেকে। গাঁজা সংক্রান্ত বিষয়ের আইনি দিকগুলি খতিয়ে দেখার জন্য শুক্রবার পাঁচ সদস্যের পরিষদীয় কমিটি গড়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। সুখু জানিয়েছেন, শাসকদল কংগ্রেস, প্রধান বিরোধী দল বিজেপি-সহ সব দলের বিধায়কেরা ওই কমিটিতে থাকবেন। সবদিক আলোচনার পর বৈধ ভাবে গাঁজার চাষ শুরু হতে পারে।
উল্লেখ্য, হিমাচলে দীর্ঘ দিন ধরেই গাঁজা চাষকে আইনি বৈধতা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন। জানা যাচ্ছে, কুলুর প্রাক্তন বিধায়ক এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি মহেশ্বর সিংহ গাঁজা চাষে আইনি বৈধতা চেয়ে ২০১৮ সালে চিঠি দিয়েছিলেন তৎকালীন বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরকে। কুলুর বর্তমান কংগ্রেস বিধায়ক সুন্দর ঠাকুরও শর্তসাপেক্ষে গাঁজা চাষের অনুমতি দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন বিধানসভায়।
অন্যদিকে, হিমাচলের মালানা এলাকার গাঁজা সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত। শুধু গাঁজা নয়, গাঁজা গাছ থেকে বানানো মালানার চরসও সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে ড্রাগ মাফিয়াদের দৌলতে। রাজনৈতিক নেতাদের বড় অংশের মতে, আইনি বৈধতা না থাকায় বাড়ছে ড্রাগ মাফিয়াদের দাপট। আইনসম্মত ভাবে চাষ করা হলে ড্রাগ মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা। গ্রামীণ অর্থনীতিও চাঙ্গা হবে বলে দাবি তাঁদের। ভারতীয় সংস্কৃতিতে ধর্মীয় কারণে পুজোর উপচার হিসাবে গাঁজার ব্যবহারের প্রচলন আছে। এ ছাড়া ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলিও ওষুধ বানানোর উপকরণ হিসাবে গাঁজা (ক্যানাবিস) ব্যবহার করে থাকে।
আরও পড়ুন-স্কুলের বই পড়ে বাবা-মাকে 'আম্মি-আব্বু' ডাকছে ছেলে, তদন্তের নির্দেশ