mizoram bangladeshপরিস্থিতিটা বোঝার চেষ্টা করুন। বাংলাদেশি শরণার্থীদের এভাবে বের করে দেওয়া যায় না। এমনটাই বললেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা। শনিবার রাজ্যের অবস্থান বোঝার জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করলেন তিনি। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে জো সম্প্রদায়ের প্রায় ২,০০০ মানুষ মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছেন। এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতে মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা জানান, মিজোরাম সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম (CHT) থেকে রাজ্যে আসা 'জো' সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। দেশে এসে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের মানুষকে ফেরত পাঠানো সম্ভব না।
মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে জানান, বাওম উপজাতির অনেক লোক মিজোরামে আশ্রয় নিচ্ছে। বাংলাদেশের মিজোদের বিভিন্ন উপজাতিগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। সেই ২০২২ সাল থেকে মিজোরামে এঁরা আশ্রয় নিচ্ছেন। অনেকে এখনও রাজ্যে প্রবেশের চেষ্টা করছে। কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (KNA) বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর আক্রমণের পর তাঁরা ২০২২ সালের নভেম্বরে মিজোরামে প্রবেশ করতে শুরু করে। উল্লেখ্য, কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি বাংলাদেশের একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এঁরা একটি পৃথক রাষ্ট্রের দাবি করে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই প্রধানমন্ত্রী ও মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের রাজধানীর পূর্ব উপকণ্ঠে আসাম রাইফেলসের ঘাঁটি আইজল থেকে জোখাওসাং-এ স্থানান্তর এবং মিজোরাম সরকারের একটি ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি হ্যান্ড-হোল্ডিং নীতি বাস্তবায়ন সহ অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দেখা করার পর লালদুহোমা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর সঙ্গেও দেখা করেন। কিরেন রিজিজু সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে লিখেছেন, 'আজ মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লাল দুহোমার সঙ্গে তাঁর নয়াদিল্লির বাসভবনে দেখা করলাম। মিজোরামের উন্নয়নের জন্য তাঁর আতিথেয়তা এবং অর্থপূর্ণ আলোচনা করা খুবই আনন্দের বিষয়।' মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা মিজোরামের উন্নয়ন নিয়ে তাঁর উষ্ণ আতিথেয়তা এবং গঠনমূলক আলোচনার জন্য মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।