প্রশাসনিক দুনিয়ায় অদ্ভুত ঘটনার অভাব নেই। তবে উত্তরপ্রদেশে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত এক কনস্টেবলের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে নজর কেড়েছে সবার। কারণ, তিনি লিখেছেন, 'আমি ভোর চারটেয় ঘুম থেকে উঠতে পারি না, সকাল আটটা পর্যন্ত ঘুমানোর অভ্যাস। তাই পুলিশের জীবন আমার জন্য নয়।'
এই বিস্ময়কর সিদ্ধান্ত আসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত থেকে নিয়োগপত্র পাওয়ার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই। ঘটনা উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলার। প্রশিক্ষণের পঞ্চম দিনেই ওই নবনিযুক্ত কনস্টেবল তাঁর বাবাকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হন দেওরিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) বিক্রান্ত বীরের অফিসে। উদ্দেশ্য, পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া।
এসপির জনসংযোগ আধিকারিক (পিআরও) মহেন্দ্র কুমার যখন কারণ জানতে চান, তখন কনস্টেবল অকপটে বলেন, 'ভোর ৪টায় উঠতে হয় প্রশিক্ষণের জন্য, অথচ আমি সাধারণত সকাল ৮টা পর্যন্ত ঘুমাই। এত কষ্ট আমি পারি না।'
তাঁর বাবা জানান, ছেলে বি.এড ডিগ্রিধারী এবং শিক্ষক হতে চেয়েছিল। সারা দিন পড়াশোনা করতেই অভ্যস্ত ছিল। শারীরিক পরিশ্রম ও কঠোর পুলিশ প্রশিক্ষণ তাকে মোটেই উৎসাহিত করছে না।
তবে পিআরও মহেন্দ্র কুমারের কথায়, প্রশিক্ষণের প্রাথমিক কষ্ট স্বাভাবিক। ধীরে ধীরে শারীরিক ও মানসিকভাবে মানিয়ে নেওয়া যায়। দীর্ঘ আলোচনা ও মানসিক সমর্থনের পর ওই তরুণ মন বদলান। অবশেষে তিনি পদত্যাগপত্র জমা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং এসপির সঙ্গে সাক্ষাৎ না করেই অফিস ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য, ১৫ জুন লখনউয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নবনিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। দেওরিয়ায় এই নবাগতদের জন্য যৌথ প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু হয়েছে। এক মাসের প্রাথমিক প্রশিক্ষণের পর, বাকি নমাস চলবে উন্নত পর্যায়ের প্রশিক্ষণ। এরপর মিলবে স্থায়ী পোস্টিং।