Caste Census by Central Government: জাতি জনগণনা করবে মোদী সরকার, মন্ত্রিসভার বৈঠকে বড় সিদ্ধান্ত

জাতিগত জনগণনা করবে কেন্দ্রীয় সরকার। বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। আজ ক্যাবিনেট বৈঠকে জাতিগত জনগণনার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সরকার আগেই জানিয়েছিল ২০২৫-২৬ সালে জাতি জনগণনা হতে পারে। অবশেষে তাতে সিলমোহর পড়ল। তবে কবে থেকে তা শুরু হবে এখনও ঘোষণা করেনি কেন্দ্র।

Advertisement
জাতি জনগণনা করবে মোদী সরকার, মন্ত্রিসভার বৈঠকে বড় সিদ্ধান্তজাতি জনগণনা করবে কেন্দ্রীয় সরকার

জাতিগত জনগণনা করবে কেন্দ্রীয় সরকার। বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। আজ ক্যাবিনেট বৈঠকে জাতিগত জনগণনার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সরকার আগেই জানিয়েছিল ২০২৫-২৬ সালে জাতিগত জনগণনা হতে পারে। অবশেষে তাতে সিলমোহর পড়ল। তবে কবে থেকে তা শুরু হবে এখনও ঘোষণা করেনি কেন্দ্র।

২০১১ সালে জাতিগত জনগণনার সঙ্গে আর্থ-সামাজিক এবং জাতিভিত্তিক জনগণনা হয়েছিল। ২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর জনগণনার জাতিভিত্তিক ফলাফল প্রকাশ করতে অস্বীকার করে। ২০২১ সালের জনগণনা কোভিড মহামারির সময় থেকেই স্থগিত ছিল। কেন্দ্রীয় সরকার বলেছিল, ২০২৫-২৬ নাগাদ হয়তো জাতীয় জনগণনা শুরু হবে। সেইমতো জাতিগত জনগণনা করার কথা ঘোষণা হয়ে গেল।

বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে একটি 'সুপার ক্যাবিনেট' বৈঠক হয়। যেখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কয়েকজন শীর্ষ মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। এতে জাতিগত জনগণনা সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সরকার জনগণনার পাশাপাশি জাতিগত জনগণনা করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৈঠকের পর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব একটি সংবাদ সম্মেলনে করেন। সেখানে আসন্ন এই ঘোষণা করেন।

রাজনৈতিক বিষয়ের যে বৈঠক কা সিসিপিএ 'সুপার ক্যাবিনেট' নামে পরিচিত। কারণ এতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার শীর্ষ মন্ত্রীরা অন্তর্ভুক্ত থাকেন। সিসিপিএ-র বর্তমান সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, যিনি এর চেয়ারপার্সন। এর সঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গডকরি, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এবং বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও এতে অন্তর্ভুক্ত।

এছাড়াও, অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন কেন্দ্রীয় সরকার শিলং এবং শিলচরের মধ্যে একটি নতুন করিডর নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে। যার মোট ব্যয় হবে ২২,৮৬৪ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি, ২০২৫-২৬ আখ কৃষকদের স্বস্তি প্রদানের জন্য, প্রতি কুইন্টাল ৩৫৫ টাকা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি)ও অনুমোদিত হয়েছে।

তিনি বলেন, "কিছু রাজ্য তাদের নিজস্ব স্তরে জাতীয় সমীক্ষা করেছে, কিন্তু সামাজিক কাঠামো বোঝার জন্য একটি সামগ্রিক পদ্ধতির প্রয়োজন। সিসিপিএ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এখন পরবর্তী জাতিগত জনগণনা করা হবে, কোনও পৃথক সমীক্ষার অধীনে নয়।"

Advertisement

কংগ্রেসকে লক্ষ্য করে অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, কংগ্রেস সরকার সবসময় জাতিগত জনগণনার বিরোধিতা করেছে। ২০১০ সালে, প্রয়াত ডঃ মনমোহন সিং বলেছিলেন, জাতিগত জনগণনার বিষয়টি মন্ত্রিসভায় বিবেচনা করা উচিত। এই বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য মন্ত্রীদের একটি দল গঠন করা হয়েছিল। বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই এর সুপারিশ করেছিল। তা সত্ত্বেও, কংগ্রেস সরকার এটি পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেয়।

তিনি বলেন, এতে ভালোভাবেই বোঝা যায় যে কংগ্রেস এবং তাদের সঙ্গীরা জাতি গণনা কেবল রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। কিছু রাজ্য জাতি গণনার জন্য সমীক্ষা পরিচালনা করেছে। কিছু রাজ্য এটি ভালোভাবে করেছে, আবার কিছু রাজ্য কেবল রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অস্বচ্ছভাবে এই ধরনের সমীক্ষা পরিচালনা করেছে। এই ধরনের সমীক্ষা সমাজে সন্দেহের সৃষ্টি করে। রাজনীতির দ্বারা যাতে সামাজিক কাঠামো ধ্বংস না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য, সমীক্ষার পরিবর্তে জাতিগত জনগণনা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন যে সংবিধানের ২৪৬ অনুচ্ছেদের অধীনে, কিছু রাজ্য সরকারের নিজস্ব স্তরে সামাজিক সমীক্ষা পরিচালনা করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু জাতিগত জনগণনা তথ্য এখন কেন্দ্রীয় জনগণনার অধীনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যাতে অভিন্নতা এবং নির্ভুলভাবে তা করা যায়।
 

POST A COMMENT
Advertisement