অনলাইন বেটিং গেমের বাড়বাড়ন্ত কমাতে এবার কড়া অবস্থান কেন্দ্রীয় সরকারের। এবার অনলাইন বেটিং গেমে নিষেধাজ্ঞা জারি হতে চলেছে। সূত্র মারফত এই খবর মিলেছে। মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনলাইন গেমিং বিলটি অনুমোদিত হয়। সূত্রের দাবি, এই বিলের আওতায় অনলাইনে বেটিং শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। নিষিদ্ধ করা হবে সমস্ত রকমের আর্থিক লেনদেন। অর্থাৎ আর আর্থিক লেনদেন বা কোনও অ্যাপে চলা জুয়া নিষিদ্ধ হবে।
সূত্রের দাবি, বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার এই বিলটি লোকসভায় পেশ করবে। বিলের আওতায় কোনও ব্যাঙ্ক বা প্রতিষ্ঠানকে অনলাইন গেমে টাকা স্থানান্তরিত করার অনুমতি দেওয়া হবে না। দিলে তা অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। এছাড়াও মানি গেমিংয়ের সমস্ত রকমের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা হবে। তবে সরকার ই-স্পোর্টস ও নন মানিটারি গেমগুলোকে ছাড় দেবে। প্রচারও করবে।
বিলে কী কী প্রস্তাব করা হয়েছে?
সূত্রের খবর, এই বিলের লক্ষ্য হল দেশজুড়ে চলা ডিজিটাল বেটিংকে নিয়ন্ত্রণ করা। অনলাইনে জালিয়াতি বাড়ছে ক্রমাগত, তার মোকাবেলা করা। জুয়া আইনকে শক্তিশালী করা। অবৈধভাবে গজিয়ে ওঠা অনলাইন অ্যাপে নিষেধাজ্ঞা ও নিয়ন্ত্রণ।
এমনিতেই অনলাইন বেটিং করের আওতায় রয়েছে। এনডিএ পরিচালিত সরকার অক্টোবর ২০২৩ সাল থেকে অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে ২৮ শতাংশ জিএসটি কার্যকর করেছে। এই আর্থিক বছর থেকে তা ২ শতাংশ বাড়ানোও হয়েছে। অর্থাৎ, ২০২৫ অর্থবছর থেকে অনলাইন গেমের উপর ৩০ শতাংশ হারে কর নেয় সরকার। তবে সদ্য আনা বিল আইনে পরিণত হলে তখন সরকারের কী অবস্থান হবে সেটা এখনও পরিষ্কার নয়।
সূত্রের দাবি, এই বিলে বিদেশি গেমিং অপারেটরদেরও করের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে অনুমতিহীন বেটিংয়ের জন্য ৭ বছর পর্যন্ত জেল এবং বড়সড় জরিমানার বিধান কার্যকর হয়েছিল। তারপর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার অনলাইন বেটিং সম্পর্কিত সাইটগুলির বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০২২ থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১,৪০০ টিরও বেশি বেটিং, জুয়ার সাইট ও অ্যাপ ব্লক করা হয়েছে।
সূত্রের দাবি, এই বিল আইনে পরিণত হলে ভারতীয় ভূখণ্ডে অবৈধ বা অনিবন্ধিত সাইট ব্লক করার ক্ষমতা পাবে কেন্দ্রীয় সরকার।