অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু। এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন । তাঁর সঙ্গেই শপথ নেন জনসেনা পার্টির মুখ পবন কল্যাণ। তিনিও মন্ত্রীত্ব পেয়েছেন।
কয়েক মাস আগেও চন্দ্রবাবুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছিল। নাইডু ভোটে আদৌ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কি না সেটাও নিশ্চিত ছিল না। মাস খানেক আগে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতারও করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। তবে জেল থেকে মুক্তি পেয়েই নিজের খেল দেখাতে শুরু করেন অন্ধ্রপ্রদেশের এই পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ। জগন মোহনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বিজেপি ও জনসেনার সঙ্গে জোট করেন।
এদিন চন্দ্রবাবু নাইডু ছাড়াও মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন পবন কল্যাণ-সহ আরও ২৩ জন। চন্দ্রবাবুর ছেলে নারা লোকেশও মন্ত্রী হন। জোট শরিক জনসেনার ৩ জনকে মন্ত্রী করা হয়। বিজেপির একমাত্র সত্য কুমার যাদব ক্যাবিনেটে জায়গা পান। অন্ধ্রপ্রদেশের মন্ত্রিসভায় মুখ্যমন্ত্রী সহ রয়েছেন মোট ২৬ জন মন্ত্রী।
চন্দ্রবাবুর শপথগ্রহণে উপস্থিত ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এছাড়াও সিনেস্টার রজনীকান্ত, চিরঞ্জীবী-সহ একাধিক তারকা বিজয়ওয়াড়ার শপথগ্রহণ মঞ্চে হাজির ছিলেন।
২০২৪ সালের অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে চমকপ্রদ ফলাফল করে এনডিএ। মোট ১৭৫ আসনের এই বিধানসভায় টিডিপি একাই ১৩৫ আসবন দখল করে। সেখানে পবন কল্যাণের জনসেনা দখল করে ২১টি ও বিজেপি ৮টি। সেখানে জগন মোহন রেড্ডির নেতৃত্বাধীন বর্তমান ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি মাত্র ১১ আসন পায়।
এর আগে মঙ্গলবার তেলেগু দেশম পার্টি এবং এনডিএ অংশীদাররা নাইডুকে তাঁদের নেতা নির্বাচিত করেন। নাইডু সেদিন আশ্বাস দেন, অমরাবতীকে রাজ্যের একমাত্র রাজধানী হিসাবে গড়ে তুলতে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।