Chandrayaan-3 Mission: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) মিশন চন্দ্রযান-৩ তার সাফল্যের আরও এক ধাপ সম্পন্ন করেছে। এটি তার নির্ধারিত সময়ে পৃথিবীর কক্ষপথের সমস্ত পরিক্রমা সম্পন্ন করেছে এবং এখন ISRO এটিকে চাঁদের পথে ছেড়ে দিয়েছে।
সবকিছু ঠিক থাকলে, ৫ অগাস্ট, ২০২৩-এর মধ্যে এই যানটি চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে। ISRO তার গভীর রাতের একটি ট্যুইট বার্তায় জানিয়েছে যে তারা পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে এটিকে বের করে দেওয়ার জন্য নির্ধারিত সময়ে ইঞ্জিন চালু করেছিল এবং এটিকে চাঁদের পথে পাঠান হয়েছে।
ইঞ্জিনকে এক কক্ষপথ থেকে অন্য কক্ষপথে পাঠানোর গতি দেওয়ার এই প্রক্রিয়াকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় ইনজেকশন বলে। ISRO-এর টেলিমেট্রি, ট্র্যাকিং এবং কমান্ড নেটওয়ার্ক (ISTRAC) ইউনিট এই প্রক্রিয়াটি চালায়। ISRO তার ট্যুইটে বলেছে যে আমাদের পরবর্তী স্টপ চাঁদ। জানান হয়েছে, আমরা ৫ অগাস্ট চাঁদে পৌঁছাব।
Chandrayaan-3 Mission:
— ISRO (@isro) July 31, 2023
Chandrayaan-3 completes its orbits around the Earth and heads towards the Moon.
A successful perigee-firing performed at ISTRAC, ISRO has injected the spacecraft into the translunar orbit.
Next stop: the Moon 🌖
As it arrives at the moon, the… pic.twitter.com/myofWitqdi
এই দিনে মিশন চালু হয়েছিল
ট্রান্সলুনার অরবিট ইনজেকশন হল সেই প্রক্রিয়া, যার অধীনে চাঁদের দিকে যাওয়া মহাকাশযানটিকে একটি বিশেষ পথে রাখা হয়, যাতে এটি সহজে চাঁদে পৌঁছাতে পারে। ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা বলেছে যে এটি ৫ অগাস্ট, ২০২৩-এ LOI প্রক্রিয়া চালাবে। চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানটি ১৪ জুলাই, ২০২৩-এ কপিবুক স্টাইলে ভারতের ভারী উত্তোলন রকেট LVM3 দ্বারা কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছিল
চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানে একটি প্রপালশন মডিউল (ওজন ২,১৪৮ কেজি), একটি ল্যান্ডার (১,৭২৩.৮৯ কেজি) এবং একটি রোভার (২৬ কেজি) রয়েছে। এই মিশনের মূল উদ্দেশ্য হল চন্দ্রপৃষ্ঠে নিরাপদে ল্যান্ডার অবতরণ করা। চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশের কয়েকদিন পর, ল্যান্ডারটি প্রপালশন মডিউল থেকে আলাদা হয়ে যাবে। ২৩ অগাস্ট বিকেল৫.৪৭ মিনিটে ল্যান্ডারটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে সফট ল্যান্ডিং করবে বলে আশা করা হচ্ছে। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে ল্যান্ডারটি চাঁদে অবতরণ করবে।
সিঙ্গাপুরের সাতটি স্যাটেলাইটও মহাকাশে পাঠানো হয়েছে
ইসরো রবিবার (৩০ জুলাই) সফলভাবে সিঙ্গাপুরের সাতটি স্যাটেলাইটকে তাদের নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্থাপন করেছে। সফলভাবে উৎক্ষেপণের পাশাপাশি পিএসএলভি রকেটের চতুর্থ স্তর সম্পর্কিত একটি নির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় সাফল্যও মিলেছে।
ISRO চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেছেন যে বিজ্ঞানীরা একটি বিশেষ বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যেখানে সমস্ত উপগ্রহকে তাদের নির্ধারিত কক্ষপথে ৫৩৬ কিলোমিটার উচ্চতায় স্থাপন করার পরে, রকেটের চতুর্থ স্তরটি ৩০০ কিলোমিটারে নামিয়ে আনা হবে। এর উদ্দেশ্য মহাকাশে আবর্জনার সমস্যা কমানো।