scorecardresearch
 

Chandrayaan 3 Pragyan: চাঁদে কতটা হেঁটেছে রোভার প্রজ্ঞান? ISRO প্রধান দিলেন সুখবর

চন্দ্রযান-৩-এর রোভার প্রজ্ঞান এখনও পর্যন্ত চাঁদের পৃষ্ঠে ১০০ মিটার হেঁটেছে। বিক্রম ল্যান্ডার ও রোভার দুজনেরই সবকিছু ঠিক আছে। উভয়ের সমস্ত পেলোড সঠিকভাবে কাজ করছে।

Advertisement
চাঁদে কতটা হেঁটেছে রোভার প্রজ্ঞান?  ISRO প্রধান দিলেন সুখবর চাঁদে কতটা হেঁটেছে রোভার প্রজ্ঞান? ISRO প্রধান দিলেন সুখবর
হাইলাইটস
  • চন্দ্রযান-৩-এর রোভার প্রজ্ঞান এখনও পর্যন্ত চাঁদের পৃষ্ঠে ১০০ মিটার হেঁটেছে
  • বিক্রম ল্যান্ডার ও রোভার দুজনেরই সবকিছু ঠিক আছে

শনিবার সৌর মহাকাশযান আদিত্য এল ১ -র সফল উৎক্ষেপণ করেছে ISRO। তারপরই চন্দ্রযান ৩ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ খবর জানিয়েছেন ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। তিনি জানিয়েছেন যে চন্দ্রযান-৩-এর রোভার প্রজ্ঞান এখনও পর্যন্ত চাঁদের পৃষ্ঠে ১০০ মিটার হেঁটেছে। বিক্রম ল্যান্ডার ও রোভার দুজনেরই সবকিছু ঠিক আছে। উভয়ের সমস্ত পেলোড সঠিকভাবে কাজ করছে। এর আগে রোভার বিক্রম ল্যান্ডারের একটি দুর্দান্ত ছবি তুলেছিল। সামনে আসা গর্ত এড়াতে রোভার নিজের পথও পরিবর্তন করেছিল।

সব থেকে বড় সাফল্য হল চাঁদে মিলেছে অক্সিজেন। আর চন্দ্রযান-৩ এর প্রজ্ঞান রোভারই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অক্সিজেনের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে। প্রজ্ঞানের লেজার ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপি (LIBS) এই কাজটি করেছে। এটি ছিল চন্দ্রপৃষ্ঠে চন্দ্রযান-৩ এর প্রথম ইন-সিটু পরীক্ষা। এ ছাড়া হাইড্রোজেন এখনও আবিষ্কৃত হচ্ছে। অক্সিজেনের পর যদি হাইড্রোজেনও পাওয়া যায়, তাহলে চাঁদে জল থাকার সম্ভাবনা বাড়বে। এ ছাড়া চাঁদে যেসব খনিজ বা রাসায়নিক পদার্থ আবিষ্কৃত হয়েছে সেগুলি হল- সালফার, অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ক্রোমিয়াম, টাইটানিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং সিলিকন অর্থাৎ এসব জিনিসের পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে, কিন্তু চাঁদের পৃষ্ঠে এ সবই রয়েছে।

রোভার প্রজ্ঞান বেশ কিছু ছবিও তুলেছে। সেই ছবি ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে ইসরো। নেভিগেশন ক্যামেরা (NavCam) থেকে এই ছবি তুলছে প্রজ্ঞান। এই ক্যামেরাটি ল্যাবরেটরি ফর ইলেক্ট্রো-অপটিক্স সিস্টেমস (LEOS) দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এই দুটি নেভিগেশন ক্যামেরা প্রজ্ঞান রোভারের একপাশে ইনস্টল করা আছে।

আরও পড়ুন

আসলে রোভারের মোট ওজন ২৬ কেজি। এটি ৩ ফুট লম্বা, ২.৫ ফুট চওড়া। ছটি চাকা থাকা রোভারের উচ্চতা ২.৮ ফুট। রোভারের লক্ষ্য ছিল একটি চন্দ্র দিবস শেষ হওয়ার আগে ৫০০ মিটার ভ্রমণ করা। এটি প্রতি সেকেন্ডে এক সেন্টিমিটার গতিতে ক্রমাগত চলছে। আগামী ৫-৬ দিন চাঁদের পৃষ্ঠে কাজ করবে। যতক্ষণ এটি সূর্য থেকে শক্তি পাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত চাঁদের পৃষ্ঠ এবং বিক্রমের ছবি তুলতে থাকবে।

Advertisement

Advertisement