Chandrayaan 3 Latest Update: কবে ঘুম ভাঙবে বিক্রম ও প্রজ্ঞানের? অবাক করা তথ্য দিল ISRO

বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভারে এমন প্রযুক্তি পাঠানো হয়েছে, যাতে তারা সূর্যের আলো থেকে পুরোপুরি শক্তি পাবে। তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই জেগে উঠবে।

Advertisement
কবে ঘুম ভাঙবে বিক্রম ও প্রজ্ঞানের? অবাক করা তথ্য দিল ISROকবে ঘুম ভাঙবে বিক্রম ও প্রজ্ঞানের? অবাক করা তথ্য দিল ISRO
হাইলাইটস
  • বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভারে এমন প্রযুক্তি পাঠানো হয়েছে
  • যাতে তারা সূর্যের আলো থেকে পুরোপুরি শক্তি পাবে

যখন চন্দ্রযান-৩ এর বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভারকে ঘুমিয়ে রাখা হয়েছিল, তখন তাদের কিছু সার্কিটকে জাগ্রত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যাতে তারা ২২ সেপ্টেম্বর ইসরো-র পাঠানো বার্তাটি পেতে পারে। ইসরো ক্রমাগত যোগাযোগ করছে। কিন্তু বিক্রম বা প্রজ্ঞানের কোনও সাড়া নেই। ইসরো প্রধান এস সোমনাথ অবশ্য বলেছেন যে এনিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। কারণ, বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভারে এমন প্রযুক্তি পাঠানো হয়েছে, যাতে তারা সূর্যের আলো থেকে পুরোপুরি শক্তি পাবে। তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই জেগে উঠবে। অর্থাৎ এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় হয়ে যাবে। এখান থেকে আমাদের শুধু তাদের উপর নজর রাখতে হবে। ইসরোর হাতে এখনও ১৩-১৪ দিন বাকি আছে।

চেষ্টা অব্যাহত থাকবে

আগামীতে যে কোনও দিন বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের কাছ থেকে ভাল খবর আসতে পারে। সূর্য ডোবার আগে অর্থাৎ শিব শক্তি পয়েন্টে আবার অন্ধকার হওয়ার আগেই সুসংবাদ আসতে পারে। এর ঠিক আগে ২২ সেপ্টেম্বর ইসরোর বিজ্ঞানী নীলেশ দেশাই বলেছিলেন যে ২৩ সেপ্টেম্বর চন্দ্রযান-৩ অর্থাৎ ল্যান্ডার-রোভারকে জাগানোর চেষ্টা করা হবে। বর্তমানে ল্যান্ডার-রোভার নিষ্ক্রিয় রয়েছে। সেখান থেকে কোনও সাড়া না পাওয়া পর্যন্ত এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

চাঁদে সকাল হয়েছে। আলো সম্পূর্ণরূপে আসছে। কিন্তু চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার এবং রোভার এখনও পর্যাপ্ত শক্তি পায়নি। চন্দ্রযান-৩ থেকে অনেক ইনপুট পাওয়া গেছে, যা ইসরোর বিজ্ঞানীরা খতিয়ে দেখছেন। গত দশদিনের তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে, প্রজ্ঞান রোভার ১০৫ মিটার চলাচল করেছে। তখন চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১২০ থেকে মাইনাস ২২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর কারণে যন্ত্রপাতির সার্কিট নষ্ট হয়ে যায়। ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সিও একটি সংকেত পাঠিয়েছিল। ২২ সেপ্টেম্বর সকালে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির (ESA) কৌরো মহাকাশ স্টেশন থেকে চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রমকে ক্রমাগত বার্তা পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু ল্যান্ডারের প্রতিক্রিয়া ছিল দুর্বল। তার মানে যে ধরনের শক্তিশালী রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি এর থেকে আসা উচিত তা আসছে না।

Advertisement

এই দাবি করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী স্কট টিলি। স্কট একটি টুইটে লিখেছেন যে একটি খারাপ খবর আছে। চন্দ্রযান-৩ চ্যানেলে 2268 MHz নির্গত হচ্ছে। এটি একটি দুর্বল ব্যান্ড। এর মানে হল চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার এখনও কোনও শক্তিশালী সংকেত পাচ্ছে না। এর আগে স্কট বলেছিলেন যে চন্দ্রযান ক্রমাগত অন-অফ সংকেত পাঠাচ্ছে। চাঁদ থেকে আসা সংকেত কখনও কখনও স্থিতিশীল হয়। মাঝে মাঝে লাফাচ্ছে। কখনও কখনও পুরোপুরি নীচে পড়ে যাচ্ছে। বিক্রমের ট্রান্সপন্ডার RX কম্পাঙ্কের। এটি 240/221 ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করা উচিত। কিন্তু এটি 2268 MHz এর সংকেত দিচ্ছে।

POST A COMMENT
Advertisement