মাওবাদী দমনে বড়সড় সাফল্য যৌথ বাহিনীর। ছত্তিশগড়ের দুই পৃথক জায়গায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে হত ২২ মাওবাদী। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ছত্তিশগড়ের বিজাপুর ও কানকেরে মাও বিরোধী অভিযান চালানো হয়। দুপক্ষের গুলির লড়াই চলে। একজন জওয়ানও মারা যান।
প্রথম এনকাউন্টারটি হয় বিজাপুর-দান্তেওয়াড়া সীমান্তবর্তী এলাকায়। সকাল ৭ টা নাগাদ এই এনকাউন্টার শুরু হয়। এদিন যৌথবাহিনী তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল। সেই সময় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। জওয়ানরাও জবাব দেন। তাতেই মারা যায় মাওবাদীরা।
বিজাপুর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে ১৮ জন মাওবাদী সদস্যের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের কাছে ছিল প্রচুর অস্ত্র, গোলাবারুদ। ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে। আরও মাওবাদী সদস্য লুকিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
একজন পুলিশ আধিকারিক জানান, 'সীমান্তবর্তী গ্রামে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের সংঘর্ষ হয়। ১৮ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে। একজন জওয়ানও শহিদ হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে অনেক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়।'
পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়, নকশাল বিরোধী অভিযানটি ডিআরজি, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ), সিআরপিএফ যৌথভাবে চালাচ্ছিল। এখনও সেখানে মাওবাদীরা উপস্থিত রয়েছে।
অন্যদিকে কাঙ্কের জেলায় একটি পৃথক অভিযানে, ছোটবেথিয়ার কোরোসকোডো গ্রামের কাছে চার মাওবাদী নিহত হয়। নিরাপত্তা বাহিনী চিরুনি অভিযান চালাচ্ছিল, তখন মাওবাদীরা হামলা করে। প্রতি আক্রমণ করা হয় সেনার তরফেও।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকের পর তিনি জানিয়েছিলেন, মাওবাদীদের সম্পূর্ণভাবে নির্মুল করা হবে। রাজ্যের পর্যটনকে গুরুত্ব দেওয়া সরকারের লক্ষ্য। অমিত শাহও আগে জানিয়েছিলেন, মাওবাদী সমস্যা মুক্ত দেশ গড়ে তোলা এই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।