Chickens Neck Siliguri Corridor: হঠাত্‍ 'চিকেনস নেক'এ বড়সড় অ্যাকশন নিল ভারতীয় সেনা, কী চলছে? ষড়যন্ত্রের খবর গোয়েন্দাদের কাছে

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস সম্প্রতি পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ সেনাকর্তা জেনারেল শাহির শমশদ মির্জার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দুই দেশের মধ্যে সামরিক চুক্তি হয়েছে একাধিক। সামরিক শক্তিতে দুই দেশ একসঙ্গে হয়েছে। পাকিস্তান ঢাকাকে কথা দিয়েছে, তাদের যুদ্ধবিমান, মিসাইল ব্যবহার করতে পারবে বাংলাদেশ।

Advertisement
হঠাত্‍ 'চিকেনস নেক'এ বড়সড় অ্যাকশন নিল ভারতীয় সেনা, কী চলছে?চিকেনস নেকে আরও সেনাঘাঁটি
হাইলাইটস
  • চিকেনস নেকে আরও সেনাঘাঁটি
  • চিনেরও নজরে শিলিগুড়ি করিডর, বাংলাদেশ, পাকিস্তানও ছক কষছে
  • ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী সুরক্ষা করিডর

পাকিস্তানের সঙ্গে জোট বেঁধে ভারতের বিরুদ্ধে ঘোঁট পাকাচ্ছে বাংলাদেশ। দৃশ্যতই। ইসলামাবাদের সঙ্গে ঢাকার বন্ধুত্ব এখন চরমে। ভূরাজনৈতিক সমীকরণে বড় বদল ঘটছে। বিশেষ করে শিলিগুড়ি করিডর, যাকে চিকেনস নেক বলে, ওই রাস্তা ব্যবহার করে ভারত বিরোধী ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ।  আগেভাগেই সতর্ক হচ্ছে ভারত। যার নির্যাস, তিন জায়গায় স্থায়ী সেনা ব্যারাক বা সেনা ছাউনি বসাচ্ছে ভারত।

চিকেনস নেকে আরও সেনাঘাঁটি

এই জায়গাগুলি হল বামুনি (ধুবরির কাছে), কিষাণগঞ্জ ও চোপড়ায় একেবারে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায়। শিলিগুড়ি করিডরকে সুরক্ষিত রাখতে ও ভারত বিরোধী কার্যকলাপকে রুখতে বড় সিদ্ধান্ত নিল ভারত। কারণ ভারতের গোয়েন্দাদের খবর আছে, বাংলাদেশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শিলিগুড়ি করিডর ব্যবহার করে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চালানোর ছক কষছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের জঙ্গিদের আনাগোনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশে ভারত সীমান্ত এলাকাগুলিতে। 

ভারতের উপকার ভুলে ইসলামাবাদের পায়ের ধুলো চাটছে ঢাকা

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস সম্প্রতি পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ সেনাকর্তা জেনারেল শাহির শমশদ মির্জার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দুই দেশের মধ্যে সামরিক চুক্তি হয়েছে একাধিক। সামরিক শক্তিতে দুই দেশ একসঙ্গে হয়েছে। পাকিস্তান ঢাকাকে কথা দিয়েছে, তাদের যুদ্ধবিমান, মিসাইল ব্যবহার করতে পারবে বাংলাদেশ। আর সেই লোভে ভারতের উপকার ভুলে ইসলামাবাদের পায়ের ধুলো চাটছে ঢাকাও।  শিলিগুড়ি করিডর বা চিকেনস নেক হল ভারতের অন্যতম সংবেদনশীল এলাকা।  

সূত্রের খবর, নতুন সেনা ঘাঁটিগুলি সীমান্ত পরিকাঠামো উন্নয়ন ও প্রস্তুতি বৃদ্ধির বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ, যেখানে গোয়েন্দা নজরদারি, রসদ সরবরাহ ব্যবস্থা ও দ্রুত প্রতিক্রিয়া ক্ষমতা একত্রে যুক্ত করা হচ্ছে। নতুন ঘাঁটি স্থাপনের পাশাপাশি গোটা অঞ্চলটিই দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় বাহিনীর এক শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। 

চিনেরও নজরে শিলিগুড়ি করিডর, বাংলাদেশ, পাকিস্তানও ছক কষছে

বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে মহম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকার আসার পরে ঢাকার স্ট্র্যাটেজি ও নীতিতে ব্যাপক বদল ঘটেছে। প্রথমত, পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্য ও দ্বিতীয়ত চিনের জন্য অবারিত দ্বার। এটা যেন এক বড় ধরনের ষড়যন্ত্রেরই অংশ, যার লক্ষ্য শিলিগুড়ি করিডর, অর্থাৎ ভারতের উত্তর পূর্ব রাজ্যগুলিকে দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করা সেই সরু ‘চিকেনস নেক’ অঞ্চলটির উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী স্পষ্ট জানিয়েছে, এই অঞ্চল দেশের অন্যতম শক্তিশালী প্রতিরক্ষা রেখা। আধুনিক প্রযুক্তি ও অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত এই সীমান্ত এলাকা পাহারায় রয়েছে ত্রিশক্তি কোর, রাফাল যুদ্ধবিমান এবং ব্রহ্মস মিসাইলের মতো অতি আধুনিক সামরিক ব্যবস্থা, যার ফলে এই সংবেদনশীল করিডরটি আজ ভারতের সবচেয়ে সুরক্ষিত সীমান্ত অঞ্চলের মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

Advertisement

ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী সুরক্ষা করিডর

কেন্দ্রের একটি সূত্র বলছেন, এই অঞ্চল আসলে ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী সুরক্ষা করিডর। সেনাবাহিনী এখানে বহুস্তরীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে, যাতে ‘চিকেনস নেক’ অঞ্চল সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত থাকে। নতুন তিনটি সেনা ঘাঁটি তৈরি হওয়ায় সেনাদের চলাচল আরও দ্রুত ও কার্যকর হবে, ফলে জরুরি পরিস্থিতিতে তৎক্ষণাৎ প্রতিক্রিয়া জানানো সম্ভব হবে।

চিকেনস নেক হল শিলিগুড়ি করিডর। সম্প্রতি ভারতের সেনাপ্রধান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, শিলিগুড়ি করিডর হল ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী যোগসূত্র। পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম ও উত্তর-পূর্ব ভারতে আমাদের যত বাহিনী রয়েছে, সবাইকে একসঙ্গে চিকেনস নেক-এ মোতায়েন করা রয়েছে।  

অপরদিকে ভারতচিনের গতিবিধির উপরেও নজর রাখছে। চিনের গতিবিধি ও বাংলাদেশের গতিবিধি ভীষণ সন্দেহজনক। তাই শিলিগুড়ি করিডরকে আলাদা করে গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত। তাই এই এলাকায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করছে ভারতীয় সেনা।

POST A COMMENT
Advertisement