Rafale : নিম্নমানের 'মেড ইন চায়না' যুদ্ধবিমান বেচতে রাফাল নিয়ে কীভাবে মিথ্যে প্রচার? সব ফাঁস

অপারেশন সিঁদুরের ঠিক পরই ভারতের বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করে চিন। রাফাল যুদ্ধ বিমানের নামে মিথ্যা প্রচার শুরু করে তারা। উদ্দেশ্য ছিল, তাদের তৈরি নতুন  জে-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রি করা। তাতে সঙ্গ পাকিস্তানও। তাদের মন্ত্রী দাবি করে বসেন, রাফালকে ধ্বংস করেছেন তাঁরা। 

Advertisement
নিম্নমানের 'মেড ইন চায়না' যুদ্ধবিমান বেচতে রাফাল নিয়ে কীভাবে মিথ্যে প্রচার? সব ফাঁসRafale
হাইলাইটস
  • রাফালকে বদনাম করতে চক্রান্ত চিনের
  • ফাঁস হয়ে গেল সেই সব তথ্য

২০২৫ সালের মে মাসে পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছিল ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, পাকিস্তানে রাফালের মাধ্যমে হামলা চালানো হয়েছিল। তবে এই অপারেশনের ঠিক পরই ভারতের বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করে চিন। রাফাল যুদ্ধ বিমানের নামে মিথ্যা প্রচার শুরু করে তারা। উদ্দেশ্য ছিল, তাদের তৈরি নতুন  জে-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রি করা। তাতে সঙ্গ পাকিস্তানও। তাদের মন্ত্রী দাবি করে বসেন, রাফালকে ধ্বংস করেছেন তাঁরা। 

সম্প্রতি এই নিয়ে আমেরিকার গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেই মোতাবেক, চিন রাফালের নামে বদানম ছড়াতে হাজার হাজার ভুয়ো সোশ্যাল মিডিয়া অ্য়াকাউন্ট খুলেছিল। সেখানে এআই-এর মাধ্যমে রাফালের টুকরো টুকরো ছবি বানিয়ে তা ভাইরাল করিয়েছিল। 

সেই সব ছবি দেখিয়ে চিন প্রমাণ করতে চেয়েছিল, রাফাল আদৌ সুরক্ষিত বা নিরাপদ নয়। তারা সেই সব ছবি দিয়ে এও প্রচার করেছিল যে, তাদের দেওয়া পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান রাফালকে ভূপতিত করছে। 

তবে চিন যদিও সেই চক্রান্ত সফল হয়নি। কারণ, ভারতীয় বিমান বাহিনী সাফ জানিয়েছিল, তাদের সমস্ত রাফাল নিরাপদ। মাত্র তিনটি মিগ ২১ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। রাফালের গায়ে একটা আঁচড়ও পড়েনি। 

প্রতিবেদনে প্রকাশ, কেবল বিদেশে নয়, ভারতেও এই মিথ্যা ছড়িয়েছিল চিন। তাদের লক্ষ্য ছিল ভারতের ভিতরেও মানুষের মধ্য়ে অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি করা। সেই সময় দেশের অনেক মানুষই সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছিল। তবে নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে বিমান বাহিনী জানিয়েছিল, সেসব তথ্য সত্য নয়। 

তবে সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের কাছেও বিকল্প রয়েছে। সরকারের উচিত রাফাল নিয়ে যারা মিথ্যা ছড়িয়ছিল তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা। সাধারণ মানুষকে সচেতন করা। আগামী দিনে এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখে যা পড়তে না হয়, সেদিকেও সরকারের নজর থাকা উচিত। 

তবে চিন ও পাকিস্তান এত মিথ্যা প্রচার করলেও রাফালের বিশ্বাসযোগ্যতা কমেনি। কারণ, ইউক্রেনকে ১০০টি রাফাল বিক্রির চুক্তি করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ২০৩৫ সালের মধ্যে ইউক্রেনকে দেওয়া হবে এই ১০০টি যুদ্ধ বিমান।
   

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement