Artificial Chinese Garlic: উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলায় ভারত-নেপাল সীমান্তে আবর্জনা থেকে চিনা রসুন লুট করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, শুল্ক বিভাগ সম্প্রতি ১৪০০ কুইন্টাল চিনা রসুন ধ্বংস করেছে। এই রসুন নেপাল থেকে ভারতে পাচার হয়। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এই রসুন প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় উত্পাদিত হয় না, এটি কৃত্রিমভাবে জন্মায়।
এই রসুনে বিপজ্জনক ছত্রাক পাওয়া গিয়েছে। ল্যাব টেস্টে ব্যর্থ হওয়ার পর এই রসুন মাটিতে পুঁতে ধ্বংস করা হয়।
কিন্তু কর্মকর্তারা চলে যাওয়ার পরপরই গ্রামবাসী মাটি খুঁড়ে চিনা রসুন আহরণ শুরু করে। শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তারা রসুন ধ্বংস করে ফিরে এলে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে মাটি থেকে রসুন তোলার প্রতিযোগিতা হয়।
বিপুল সংখ্যক শিশু, বৃদ্ধ ও নারী ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাটি থেকে বস্তায় ভরে চিনা রসুন তুলতে শুরু করে। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে, যাতে স্পষ্ট দেখা যায় কীভাবে মানুষ মাটি থেকে রসুন খনন করছে।
চিনা রসুন কতটা বিপজ্জনক?
তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে শুল্ক বিভাগ পৃথক অভিযানে নেপাল থেকে ভারতে পাচার হওয়া প্রায় ১৬ টন চিনা রসুন উদ্ধার করেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চিনা রসুন স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর এবং এতে উপস্থিত ছত্রাক মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে। তা সত্ত্বেও গ্রামবাসী তা নিচ্ছেন। এক গ্রামবাসী বলেন, এটা আমরা খাওয়ার জন্য নিচ্ছি না, ক্ষেতে বপনের জন্য নিচ্ছি।
এই গোটা ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে যে, চিনা রসুন যে স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক তা যখন জানা গিয়েছিল, তখন তা পুরোপুরি ধ্বংস করা হল না কেন? অধিদপ্তর কেন শুধু মাটিতে পুঁতে না দিয়ে পুড়িয়ে বা অন্য কোনও উপায়ে রসুন পুরোপুরি ধ্বংস করেনি?
মাটি থেকে রসুন সহজেই তা বের করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন গ্রামবাসীরা
গ্রামবাসীরা জানান, বাজারে রসুনের দাম বেশি থাকায় তারা তা ক্ষেতে বপনের জন্য নিয়ে গেছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে কোনওভাবেই এই রসুন ব্যবহার করা বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে।
এই রসুন স্বাস্থ্যের জন্য কতটা বিপজ্জনক?
শুল্ক কর্মকর্তা বলেন, বাজেয়াপ্ত করা চিনা রসুন ল্যাবে পরীক্ষা করা হলে তাতে ছত্রাকের সংক্রমণ ধরা পড়ে, যার কারণে ভারতে তা নিষিদ্ধ করা হয়। চাইনিজ রসুন সম্পর্কে ডাঃ অমিত রাও গৌতম বলেন, এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপজ্জনক, কারণ এটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয় না। এটি কৃত্রিমভাবে জন্মায়। এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। যেমন গ্যাস্ট্রাইটিস, পেট ফুলে যাওয়া ইত্যাদি। এ কারণে ভারতে এটি নিষিদ্ধ।