'অগ্নিবীর' নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাদের দাবি, অবিলম্বে এই প্রকল্প বাতিল করতে হবে। সংসদেও উঠেছে বিষয়টি। এর মধ্যেই এবার অগ্নিবীর নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত। সিআইএসএফ-এর নিয়োগে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ করা হল অগ্নিবীরদের জন্য। এজন্য প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে CISF। শীঘ্রই এই বাহিনিয়োগে সুযোগ পাবেন অগ্নিবীররা।
কী বলল সিআইএসএফ?
CISF অধিকর্তা নীনা সিং বলেন,'বাহিনীতে প্রাক্তন অগ্নিবীরদের নিয়োগের জন্য বড় পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সিআইএসএফ-এর পক্ষ থেকেও এ সংক্রান্ত সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। কনস্টেবল পদে ১০% শূন্যপদ প্রাক্তন অগ্নিবীরদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এছাড়াও শারীরিক দক্ষতার পরীক্ষায় ছাড় দেওয়া হবে তাঁদের'।
বিএসএফের ডিজি নিতিন আগরওয়াল বলেন,'আমরা জওয়ানদের তৈরি করছি। এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। এতে সবপক্ষই উপকৃত হবে। প্রাক্তন অগ্নিবীররা নিয়োগে ১০% সংরক্ষণ পাবেন।
'অগ্নিবীর'-দের পেনশন-ভাতা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিরোধী দলের নেতাদের মধ্যে রীতিমতো বাকযুদ্ধ চলছে।বিরোধীদের অভিযোগ, অগ্নিবীরদের সম্পূর্ণ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে অগ্নিবীর অজয় কুমারের আত্মীয়দের কত টাকা দেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে বিবৃতিও জারি করেছে কেন্দ্র। কর্তব্যরত একজন অগ্নিবীর জওয়ান কত টাকা ক্ষতিপূরণ পান? অগ্নিবীররা কি সাধারণ সেনা জওয়ানের থেকে কম সুবিধে মেলে?
-সাধারণ সেনা জওয়ান এবং অগ্নিবীর। দুই সেনার জওয়ানদেরই কয়েকটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। কর্তব্যরত অবস্থায় প্রাণ হারানো সৈনিকদের A থেকে E পর্যন্ত পাঁচটি বিভাগে ভাগ করা হয়। অগ্নিবীরকে X, Y এবং Z তে রাখা হয়।
-ক্যাটাগরি A অর্থাৎ সাধারণ জওয়ান এবং ক্যাটাগরি X অর্থাৎ অগ্নিবীররা যদি সামরিক কারণে নয়, অন্য কোনও কারণে হতাহত হয়ে থাকেন, তাহলে তাঁদের এই ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
- B এবং C ক্যাটাগরিতে মিলিটারি সার্ভিসের কারণে মৃত্যু অন্তর্ভুক্ত। অগ্নিবীরের জন্য এই বিভাগটি হল Y।
- সাধারণ সৈন্যদের জন্য, D এবং E ক্যাটাগরি হিংসা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, শত্রুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ, সীমান্তে হিংসাত্মক সংঘর্ষ এবং যুদ্ধের কারণে হতাহত হওয়ার ঘটনাকে ইঙ্গিত করে। অগ্নিবীরদের ক্ষেত্রে এই ক্যাটাগরি হল জেড।
কেন্দ্রীয় সরকার সাধারণ জওয়ানদের আর্মি গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স ফান্ডে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা দেয়। এছাড়াও, ব্যাঙ্কের তরফে ৫০ লাখ টাকার বীমা পাওয়া যায়। অন্যদিকে অগ্নিবীরের ৪৮ লক্ষ টাকার বীমা রয়েছে। তবে এই সুবিধার জন্য প্রিমিয়াম সরকার দিয়ে করে। অপারেশনের সময় মৃত্যু হলে উভয় পরিবারই এই টাকা পায়। এ জন্য ব্যাঙ্কগুলোর সঙ্গে চুক্তি করেছে প্রতিরক্ষা বাহিনী। ব্যাঙ্কগুলি সাধারণ সৈন্য এবং অগ্নিবীর দুই শ্রেণীর সেনাকেই বীমা দেয়। ব্যাঙ্ক পলিসি অনুযায়ী বীমার পরিমাণ পরিবর্তিত হতে পারে।