ওড়িশার কটকে দুর্গা প্রতিমার নিরঞ্জন ঘিরে উত্তেজনা। নিরঞ্জনে অংশগ্রহণকারীদের উপর পাথর বৃষ্টি এক সম্প্রদায়ের। তার জেরে জখম হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার কটক শহরে ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
রবিবার রাত তখন দেড়টা। কথাজোড়ি নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য হাথি পোখারির দরগাবাজার এলাকা ধরে যাচ্ছিল দুর্গা প্রতিমার শোভাযাত্রা। তখনই শুরু হয় অশান্তি। পুলিশ সূত্রে খবর, শোভাযাত্রায় জোরে জোরে মাইক বাজানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ করে সেই এলাকার বাসিন্দারা। আর তারপরই দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
অভিযোগ, দরগাবাজারের বাসিন্দাদের একাংশ ছাদে উঠে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে। তার জেরে শোভাযাত্রায় মোতায়েন একাধিক পুলিশকর্মী ও সাধারণ মানুষ জখম হন। কটক পুলিশের ডিসিপিও রক্তাক্ত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসরে নামে পুলিশ। অভিযুক্তদের উপর মৃদু লাঠিচার্জ করা হয়। অভিযোগ, বিক্ষুব্ধরা রাস্তার থাকা একাধিক বাইক ও গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
এদিকে অশান্তির খবর পেয়ে সেখানে জমায়েত করে আরও মানুষ। তাদের তরফে ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়। ইটবৃষ্টিকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে শুরু হয় বিক্ষোভ। সেই রাস্তাতেই প্রতিমা আটকে রাখা হয়। পুলিশের কাছে দাবি করা হয়, দোষীরা গ্রেফতার না হলে প্রতিমা সরানো হবে না। রবিবার সকাল সাড়ে নটা পর্যন্ত সেই বিক্ষোভ চলতে থাকে। তারপর প্রতিমা বিসর্জন করানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে আরও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে। সেজন্য সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে এই ঘটনার জন্য পুলিশকে দায়ি করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাদের অভিযোগ, শোভাযাত্রায় মোতায়েন পুলিশকর্মীরা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারেনি। সেজন্যই অশান্তি হয়েছে। যদিও পুলিশের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
এদিকে বিজেপি বিরোধী বিজু জনতা দলের অভিযোগ, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানি ছড়াতে একটি দল এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এদিকে এই ঘটনার জেরে রবিবার দিনভর চাপা উত্তেজনা ছিল কটক শহরে। জায়গায় জায়গায় পুলিশ পিকেটও বসানো হয়েছে।