Mamata Banerjee at Odisha: বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনার (Balasore Train Accident) আতঙ্ক এখনও কাটেনি। দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে তদন্ত করছে সিবিআই। মঙ্গলবার ফের ওড়িশা সফরে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এদিন আহতদের দেখতে কটক মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিবিআই প্রসঙ্গে মমতার বার্তা, "সত্য ধামাচাপা দেওয়া উচিত নয়। আমি চাই সত্যটা বেরিয়ে আসুক। এতজনের প্রাণ গেছে, এখন তর্ক-বিতর্ক করার সময় নেই। সত্যিটা সামনে আসুক।" দুর্ঘটনা নিয়ে অন্তর্ঘাতের প্রসঙ্গে মন্তব্য করেননি তিনি। এখনই এই বিষয়ে মুখ খুলবেন না বলে জানান।
পাশাপাশি এ-ও জানান, "বাংলা থেকে ১০৩ জনের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। ৩১ জন এখনও নিখোঁজ। কারও হাত কেটেছে, কারও পা। সকলকে অর্থ সাহায্য দেওয়া হবে। নিহতদের পরিবারে একটি হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে। এছাড়াও, ৫ লক্ষ টাকা মৃতদের পরিবার পরিজনদের দেওয়া হবে, যারা আহত তাদের ১ লক্ষ টাকা, যারা আংশিক আহত তাদের ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেন। যারা ট্রেনে ছিলেন তাদের ১০ হাজার টাকা ও আগামী ৪ মাস ২,০০০ টাকা ও রেশন দেওয়া হবে।"
তিনি আরও জানান, ওড়িশা সরকারের সঙ্গে বাংলার আধিকারিকেরাও কাজ করছে। কেন্দ্রের তরফে যেমন বিনামূল্যে চিকিৎসা করানো হচ্ছে, আমাদের তরফেও তাই হচ্ছে। আইপিএস, আইএএস আধিকারিকেরা আছেন। সেই সঙ্গে আছেন চিকিৎসক, নার্সেরা। এখান থেকে আমি ভুবনেশ্বর যাব তারপর আমি কলাইকুণ্ডা যাব। সেখানে অনেকেই চিকিৎসাধীন। বাংলার ৪০ জন আধিকারিক এখন আছে। ওড়িশায় বাংলার ৯৭ জন এখনও চিকিৎসাধীন।"
করমণ্ডল এক্সপ্রেসে আহত-নিহতদের বড় সংখ্যাটি পরিযায়ী শ্রমিকের। বাংলার প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিক ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত-নিহত হন। সেই সঙ্গে প্রশ্ন ওঠে, রাজ্যে চাকরির অভাবের। এদিন মমতা এ দানি করেন, "কেউ আমেরিকা, দুবাই যায়, সেরকমই দেশের মধ্যে যদি কেউ কোথাও যায় তাকে পরিযায়ী শ্রমিক বলে কাউকে অসম্মান করা উচিত না।" তাঁর যুক্তিতে, পরিযায়ী শ্রমিক বলা উচিত নয়, কাজ করতে যে কেউ দেশের যে কোনও প্রান্তে কাজ করতে যেতে পারেন, তাদের পরিযায়ী শ্রমিক বলে সম্বোধন করা উচিত নয়।