পৃথিবী সমস্যায় জর্জরিত। এক দেশ আর এক দেশের সঙ্গে বিবাদ-সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। সেই সব সমস্যার সমাধান করতে পারে হিন্দু ধর্ম। কারণ এই ধর্মই একমাত্র বহুত্ববাদকে গ্রহণ করে। এমনটাই মনে করেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।
ধর্ম জাগরণ ন্যাসের ভবনের প্রতিষ্ঠার সময় মোহন ভাগবত বলেন, 'আজ সমগ্র বিশ্বের এই ধর্মের প্রয়োজন। পৃথিবী আসলে জানে না কীভাবে বৈচিত্র্যকে পরিচালনা করে বাঁচতে হয়। তাই এত সংঘাত, রেষারেষি চলছে।'
তাঁর আরও সংযোজন, 'হিন্দু ধর্ম বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের শিক্ষা দেয়। আমরা সবরকমের বৈচিত্র্যকে গ্রহণ করি। আমরা বৈচিত্র্যময় বলে আলাদা নই, বরং আমাদের ধর্মই এই শিক্ষা আমাদের দিয়েছে। এই ধর্ম সবাই পালন করতে পারেন। হিন্দুরা প্রথমে এটি আবিষ্কার করেছিল তাই হিন্দু ধর্ম বলা হয়।'
ভাগবতের কথায়, 'হিন্দু ধর্মের কর্তব্য কেবল ঈশ্বরের প্রতি নয়, সমাজের প্রতিও। ভারতের ইতিহাসে ধর্মের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করা হয়েছে। ধর্মের জন্য মাথা কাটা হয়েছিল, কিন্তু ধর্মকে কেউ ছেড়ে যায়নি। আপনারা সকলেই ছাওয়া ছবিটি দেখেছেন। এই ত্যাগ আমাদের লোকেরাই করেছে। তারাও আমাদের জন্য একটি উদাহরণ।'
মোহন ভাগবতের আরও দাবি, আমাদের সমাজের খুব সাধারণ মানুষও ধর্মের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করে থাকে। কারণ তারা বিশ্বাস করে ধর্ম সব সময় সত্যির উপর দাঁড়িয়ে। তাঁর কথায়, 'আমাদের ধর্ম সত্যের উপর ভিত্তি করে এবং পৃথিবীর চূড়ান্ত সত্য হল যে, আমরা সাধারণভাবে একে অপরের থেকে আলাদা হলেও আসলে এক। হিন্দু ধর্ম সব সময় মানুষকে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। সেজন্য অন্য কাউকে ধর্ম পরিবর্তন করার কথা বলে না।'
আরএসএস দিল্লিতে তিন দিনের একটি বক্তৃতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। ২৬, ২৭ এবং ২৮ অগাস্ট তা আয়োজিত হবে। সূত্রের খবর, এরপর অন্য রাজ্যেও একই অনুষ্ঠান হবে। এই অনুষ্ঠানে প্রধান বিরোধী দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। যেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন মোহন ভাগবত। এই বছর বিজয়াদশমীতে, আরএসএস তাদের প্রতিষ্ঠার ১০০ বছর পূর্ণ করবে। সেই উপলক্ষ্যেই দেশজুড়ে অনুষ্ঠান ও প্রচার কর্মসূচি চালাবে তারা।