অযোধ্যায় রাম মন্দিরের নতুন ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খার্গে এবং সনিয়া গান্ধী। ২২ জানুয়ারি ২০২৪-এ অযোধ্যায় এই অনুষ্ঠান হতে চলেছে। প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি রামলালার প্রাণ-প্রতিষ্ঠার পুজো করবেন। খাড়গে এবং সনিয়া গান্ধী ছাড়াও শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের পক্ষ থেকে লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে কংগ্রেস নেতারা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন কি না, তা এখনও ঠিক হয়নি। সূত্র বলছে যে কংগ্রেসের সিনিয়র নেতাদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা কম।
মনমোহন ও এইচডি দেবগৌড়াও আমন্ত্রিত
সূত্র জানাচ্ছে, ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে খার্গে, সনিয়া গান্ধী এবং অধীর চৌধুরীকে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং এইচডি দেবগৌড়াও অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়েছেন। সূত্রের দাবি, ট্রাস্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের একটি প্রতিনিধি দল আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আগামী দিনে অন্য বিরোধী নেতাদেরও আমন্ত্রণ পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
পরে কর্মসূচিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত
রামমন্দির কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার বিষয়ে কংগ্রেস সভাপতি এখনও সিদ্ধান্ত নেননি বলেই শোনা যাচ্ছে। সূত্র জানাচ্ছে, কর্মসূচির দিন ঘনিয়ে এলে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। কংগ্রেসের কিছু নেতা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে, তবে এখনও এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
রাজনীতিবিদদের আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হচ্ছে
রাম মন্দির ট্রাস্ট প্রাণ প্রতিষ্ঠার বিশাল অনুষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে অযোধ্যা ইস্যুটি প্রধান হয়ে উঠবে বলে মনেকরা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে অ-বিজেপি দলগুলির মধ্যে নির্বাচনে এর প্রভাব নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে।
অধীর চৌধুরীকেও নিমন্ত্রণ
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়াকেও রাম মন্দিরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়াও, লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীকেও রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর আগে, রাম মন্দির আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী শীর্ষ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীকেও মন্দির ট্রাস্টের পক্ষ থেকে একটি আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে। ২২ জানুয়ারি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে, বিশাল মন্দিরে রামলালার অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এই কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে দেশ-বিদেশে কর্মসূচি পালন করছে বিজেপি। এ ব্যাপারে হিন্দু সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে।
'অযোধ্যায় তৈরি হয়েছে তাঁবুর শহর'
ট্রাস্ট বলেছে যে বিভিন্ন ঐতিহ্যের শ্রদ্ধেয় সাধকদের পাশাপাশি প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশের সম্মানে অবদান রাখা সমস্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ট্রাস্ট বলেছে যে নতুন তীর্থক্ষেত্রপুরমে (বাগ বিজাইসি) একটি তাঁবুর শহর স্থাপন করা হয়েছে যার মধ্যে ছয়টি নলকূপ, ছয়টি রান্নাঘর এবং একটি দশ শয্যার হাসপাতাল রয়েছে। সারাদেশের প্রায় ১৫০ জন চিকিৎসক আবর্তনের ভিত্তিতে এই হাসপাতালে তাদের সেবা দিতে সম্মত হয়েছেন। অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রায় চার হাজার সাধুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রাস্ট।