প্রথমবার সাংসদ হিসেবে লোকসভায় শপথ নিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বেলা ১১টা নাগাদ তিনি শপথ নেন। কেরলের ওয়েনাড থেকে লোকসভা উপ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতেছেন প্রিয়াঙ্কা। বৃহস্পতিবার তিনি শপথ নিলেন। প্রিয়াঙ্কার শপথের পরেই গান্ধী পরিবারের তিন সদস্য সংসদের সদস্য হলেন। সনিয়া গান্ধী রাজ্যসভার সাংসদ। অন্যদিকে রাহুল গান্ধী লোকসভার সাংসদ। লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলি ও কেরলের ওয়েনাড থেকে জয়ী হয়েছিলেন রাহুল। তবে, তিনি ওয়েনাড আসনটি ছেড়ে দেন। তারপরেই সেখানে উপ নির্বাচন হয়েছে। যেখানে প্রার্থী করা হয়েছিল প্রিয়াঙ্কাকে।
উপ নির্বাচনে ৬.২২ লক্ষ ভোট পেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। নিকটতম CPM প্রতিদ্বন্দ্বী সত্যান মোকেরিকে ৪ লক্ষেরও বেশি ভোটে পরাজিত করেছেন, যা ২০২৪ সালের নির্বাচনের ব্যবধানের চেয়ে বেশি। জয়ের পরে প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন যে তিনি সংসদে জনগণের কণ্ঠস্বর হওয়ার জন্য তৈরি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, 'আপনারা আমার ওপর যে আস্থা রেখেছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি নিশ্চিত করব যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনারা এই জয়কে সত্যিই আপনাদের জয় বলে মনে করবেন। আপনারা যাকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বেছে নিয়েছেন সে যে আপনাদের আশা এবং স্বপ্ন বোঝে, সেটাও বুঝবেন। আমি সংসদে আপনাদের কণ্ঠস্বর হওয়ার অপেক্ষায় আছি।'
২০১৯ সালে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। পূর্ব উত্তর প্রদেশের কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে নিযুক্ত হন। এক বছর পরে তাঁকে সমগ্র রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়। যদিও তাঁর দল ২০২২ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয়েছিল, তিনি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশ এবং অন্যান্য রাজ্যে কংগ্রেস দলকে পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে রায়বরেলি থেকে প্রার্থী করা হবে বলে তীব্র জল্পনা ছিল। তবে সাংগঠনিক দায়িত্বের কারণে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অস্বীকার করেন।