Rahul Gandhi: জাতগণনার পর এবার জাতিভিত্তিক সংরক্ষণ ৫০ শতাংশেরও বেশি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। তাঁদের ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে তা করা হবে বলে সোমবার জানান রাহুল। ঝাড়খণ্ডে ন্যায় যাত্রা থেকে এই প্রতিশ্রুতির কথা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, "বেসরকারি হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজগুলির তালিকা বের করলে তাতে দলিত ও অনগ্রসর শ্রেণির নাম পাবেন না। চুক্তিতে কর্মরতদের তালিকা বের করলে দেখা যাবে দলিত, আদিবাসী ও অনগ্রসর শ্রেণির মানুষ। তার মানে এই মানুষগুলিকে বন্ডেড শ্রমিক বানানো হচ্ছে।"
তিনি বলেন, "ভারতে পিছিয়ে পড়া, দলিত, আদিবাসী কোনও বড় জায়গায় নেই। ভারতের সামনে এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। আমাদের প্রথম পদক্ষেপ হবে দেশে জাতভিত্তিক সংরক্ষণ করা।"
বলেন, 'দেশে কী খরচ হবে তা ঠিক করেন ভারত সরকারের ৯০ জন। এরমধ্যে আইএএস আছে। কোথায় কী খরচ হবে তা তাঁরাই নির্ণয় করবেন। এর মধ্যে দলিত, আদিবাসী কত? শুধু ৩ ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষ আছে। আপনাদের কোথাও সংরক্ষণ নেই।'
এর আগে শনিবার, রাহুল গান্ধী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, 'আজকাল প্রধানমন্ত্রী বলছেন যে দেশে কেবল দু'টি জাতি রয়েছে - ধনী এবং দরিদ্র। যখন কেউ পিছিয়ে নেই, দলিত নেই, আদিবাসী নেই, তাহলে এত বছর ধরে কেন মোদীজি নিজেকে ওবিসি বলছিলেন? অতএব, এখন এখানে এবং সেখানে জিনিস গণনা করা হবে না। সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার দিতে… গণনা করা হবে। দূর্বল ও বঞ্চিতদের মূল স্রোতে নিয়ে আসার জন্য... গণনা করা হবে। বিজেপি সরকারকে তার দিন গণনা করা উচিত, আমরা জাত গণনা করব।'
ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় চম্পাই সোরেনের নেতৃত্বাধীন সরকার আস্থা ভোটে জয়ী হওয়ার পরপরই বিজেপির নিন্দায় সরব হন রাহুল। সমাবেশে তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি সরকারকে অপসারণের চেষ্টা করেছে কারণ তারা আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রীকে মেনে নিতে পারছে না। এই অভিযোগও করেন, কেন্দ্র আদানিকে লাভবান করার জন্য সমস্ত পাবলিক সেক্টরগুলি গলা টিপে দিচ্ছে। তিনি বলেন, এই বেসরকারিকরণ দলিত, ওবিসি, আদিবাসী, সংখ্যালঘু এবং দরিদ্র মানুষের জাতি থেকে "চুরি" করার একটি প্রচেষ্টা।