Cngress On Narendra Modi : মোদীর 'হাত-পা-মাথা গায়েব', পহেলগাঁও ইস্যুতে কংগ্রেসের কটাক্ষ-ছবিতে বিতর্ক

জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করল কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীর একটি পোস্টার শেয়ার করা হয়েছে কংগ্রেসের অফিশিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেলে।

Advertisement
মোদীর 'হাত-পা-মাথা গায়েব', পহেলগাঁও ইস্যুতে কংগ্রেসের কটাক্ষ-ছবিতে বিতর্কCongress Post
হাইলাইটস
  • জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করল কংগ্রেস
  • প্রধানমন্ত্রীর একটি পোস্টার শেয়ার করা হয়েছে কংগ্রেসের অফিশিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেলে

জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করল কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীর একটি পোস্টার শেয়ার করা হয়েছে কংগ্রেসের অফিশিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেলে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, মাথা, হাত ও পা নেই। সেই পোস্টে লেখা, 'দায়িত্বের সময় গায়েব।' 

এই পোস্ট সামনে আসার পর বিতর্ক দানা বেঁধেছে। দেশের প্রধান দুই দল একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে। কংগ্রেসের এই পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির দাবি, কংগ্রেস পাকিস্তান থেকে নির্দেশ নিচ্ছে। তাদের মদতে কাজ করছে। 

বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুরের কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই দল পাকিস্তানের মুখপাত্রের মতো কাজ করছে। তারা পাকিস্তানের পক্ষে সওয়াল করছে। অনুরাগের কথায়, 'পাকিস্তান এমন একটা দেশ যাদের সরকার জঙ্গিখাতে টাকা বরাদ্দ করে। এই হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত সরকার। তাহলে কংগ্রেস এত কথা বলছে কেন? কেন পাকিস্তানকে সমর্থন করছে? দেশের মানুষের রক্তপাত দেখে কংগ্রেসের রাগ হচ্ছে না? সাইফুদ্দিন সোজ পরামর্শ দিচ্ছেন পাকিস্তানের কথা শুনতে। জল বন্ধ না করতে। তাহলে কংগ্রেস দলকে ঠিক করতে হবে তারা কাদের পক্ষে থাকবে? ভারত যখন পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছিল তখনও কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছিল। এটা কাম্য নয়।' 

আর এক বিজেপি নেতা অমিত মালভ্য কংগ্রেসকে আক্রমণ করে লেখেন, 'শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন এই ছবি ব্যবহার করে মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক পাওয়ার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। এই পোস্ট প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রচ্ছন্ন উসকানি। কংগ্রেস এর আগেও এমন কাজ করেছে।'

এদিকে কংগ্রেসের তরফে ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকারের কাছে  লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিশেষ অধিবেশন ডাকার আবেদন জানানো হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে জয়রাম রমেশ বলেন, 'আমরা সরকারের কাছে বিশেষ অধিবেশনের আবেদন জানিয়েছি। অন্য কয়েকটি দলের সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। তারাও কংগ্রেসের এই আহ্বানকে সমর্থন জানিয়েছে। দেশের মানুষের তথ্য জানার অধিকার রয়েছে। কীভাবে হামলা করে জঙ্গিরা, কেন এমন হল, এসব তথ্য জানা প্রয়োজন। সেজন্য অধিবেশন ডাকলে সুবিধা। সরকারের পক্ষে প্রকাশ্যে যা যা বলা সম্ভব, তারা জানালে ভালো। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় বৈঠকে ছিলেন না। যদিও বিহারে ভোটের প্রচারে চলে গিয়েছিলেন। সংসদে তিনিও থাকতে পারবেন। তাঁর কথা শুনতে চান দেশের দেশের মানুষ।' 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement