টুলকিট কাণ্ডে গ্রেফতার পরিবেশকর্মী দিশা রবিকে গ্রেফতার নিয়ে মুখ পুড়ল দিল্লি পুলিশের। মঙ্গলবারই জামিনে ছাড়া পান বেঙ্গালুরুর ২৩ বছরের দিশা। জামিনে মুক্তি দেওয়ার সময় অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক ধর্মেন্দ্র রানা জানিয়ে দেন যে কোনও ব্যক্তি যদি সরকারের সঙ্গে সহমত না হন, তবে তাকে জেলে ঢোকানো হবে এমনটা হতে পারে না।
১৩ ফেব্রুয়ারি দিশা রবিকে আটক করে জেলে রাখা হয়৷ যদিও মঙ্গলবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে তিহার জেলের ডিরেক্টর জেনারেল। জামিনের আবেদনের শুনানিতে বিচারক ধর্মেন্দ্র রানা বলেন, "টুলকিটের বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে সেখানে কোনও রকমের সহিংসার আহ্বান কার্যত অনুপস্থিত।"
এমনকী আদালতের আদেশে এও বলা হয়েছে যে দিশা রবি এবং ২৬ জানুয়ারি কৃষকদের সহিংসার ঘটনার সঙ্গে কোনও যোগসূত্র রয়েছে এমন প্রত্যক্ষ প্রমাণ নেই। আদালতের বলা হয়, 'নাগরিকরা যে কোনও গণতান্ত্রিক দেশের সরকারের বিবেকের রক্ষাকারী। তারা রাজ্যের নীতিগুলির সঙ্গে একমত না হলে তাঁদের জেলে ঢোকানো যেতে পারে না।'
এছাড়া এও বলা হয়েছে, তদন্তকারী সংস্থাকে প্রত্যাশার ভিত্তিতে নাগরিকের স্বাধীনতাকে আরও সীমাবদ্ধ করার অনুমতি দেওয়া যাবে না। যে মতামতই দেওয়া হোক তাঁকে গুরুত্ব দিয়ে আগে বিচার করতে হবে। বাক স্বাধীনতা দেশের মৌলিক অধিকার। মত প্রকাশের স্বাধীনতা সকলের রয়েছে। সেক্ষেত্রে ভৌগোলিক কোনও বাধা থাকতে পারে না। বিশ্বের শ্রোতা ও দর্শকদের তা দেখার অধিকার রয়েছে।
যদিও দিল্লি পুলিশের তরফে আইনজীবী একটি ওয়েবসাইটের প্রসঙ্গ আনেন। তিনি বলেন, এই ওয়েবসাইটটিতে "জাতীয়তাবিরোধী"উপাদান দ্বারা ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য চেষ্টা চলছে"। যদিও বিচারক জানিয়ে দেন যে ওয়েবসাইটে তেমন কোনও কিছু পরিলক্ষিত হয়নি৷
প্রসঙ্গত, দিল্লি সীমানা লাগোয়া এলাকায় কৃষক আন্দোলনের সমর্থন জানিয়ে টুইট করেছিলেন সুইডিশ পরিবেশ কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। গ্রেটার শেয়ার করা টুলকিট পোস্ট করেছিলেন দিশা। সেই মামলায় দিশাকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।