করোনা সংক্রমণ ঘিরে আরও উদ্বেগ বাড়ল দেশে। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা আরও বাড়ল। প্রায় ৪ হাজারের কাছে পৌঁছে গেল অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা। সেই সঙ্গে ভয় ধরাচ্ছে প্রাণহানির ঘটনাও।
রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫৬ জন। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৭৪২। শনিবার এই সংখ্যাটা ছিল ৩ হাজার ৪২০।
সংক্রমণ বৃদ্ধির পাশাপাশি কোভিডে মৃত্যুর ঘটনাও চিন্তা বাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত কেরলের বাসিন্দা। দেশের মধ্যে করোনার নয়া উপপ্রজাতি JN.1-এ আক্রান্তের প্রথম হদিশ পাওয়া গিয়েছে কেরলে। দক্ষিণের এই রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি সবেচেয়ে বিপজ্জনক।
কেরলে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১২৬। কর্নাটকে এই সংখ্যাটা ৯৬। মহারাষ্ট্রে করোনায় অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩৫। দিল্লিতে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১৬। তেলঙ্গানায় এই সংখ্যাটা ১১ জন। গুজরাটে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১০।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩৩৩ জন। দেশে করোনায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ কোটি ৪৪ লক্ষ ৭১ হাজার ৫৪৫ জন। দেশে সুস্থতার হার ৯৮.৮১ শতাংশ।
দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও এখনই মাস্ক পরা কিংবা কোভিড বিধিনিষেধ জারি করা হবে না বলেই সূত্রের খবর। সাধারণ মানুষকে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে যাঁদের উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দেশে হঠাৎ করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বুধবার পর্যালোচনা বৈঠক করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয়। সব রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির দিকে সর্বক্ষণ নজর রাখা হচ্ছে। গত বছরের শেষ থেকেই করোনার দাপট অনেকটা কমে গিয়েছিল এ দেশে। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও করোনা আতঙ্ক অনেকটাই থিতু হয়েছে। বহু দেশেই কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল করে দেওয়া হয়েছে। মাস্ক পরার মতো নিয়মও শিথিল হয়েছে এ দেশে। মাস্ক ছাড়াই এখন প্রায় সকলেই বাইরে বেরোচ্ছেন। করোনাকে হারিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছেন সকলে। বছর শেষে আবার করোনার সংক্রমণ বাড়ায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে।