COVID-19 cases in India : দেশে আচমকা বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, মহামারির আকার নেবে?

চিন, সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়ের পর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ভারতেও। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্যগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। চিনে শ্বাসকষ্টজনিত অসুবিধে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন অনেকে।

Advertisement
 দেশে আচমকা বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, মহামারির আকার নেবে?  Corona (File Photo)
হাইলাইটস
  • চিন, সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়ের পর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ভারতেও
  • কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্যগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে

চিন, সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়ের পর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ভারতেও। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্যগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। চিনে  শ্বাসকষ্টজনিত অসুবিধে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন অনেকে। সেদেশে গত মাসে ৩.৩ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত ছিল। তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৩ শতাংশ। তাইওয়ানে কোভিডের হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু কেন এত করোনা ছড়াচ্ছে? 

এই বিষয়ে মাহিম (মুমবাই)-এর এসএল রাহেজা হাসপাতালের পরামর্শদাতা এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ারের প্রধান ডাঃ সঞ্জিত শশীধরন বলেন, 'করোনার টেস্ট আগের থেকে বেড়েছে। ফলে রোগী ধরা পড়ছে বেশি। পরীক্ষা করা যেহেতু আগের তুলনায় এখন অনেক সহজ সেই কারণে সাধারণ সর্দি-কাশি হলেও সাধারণ মানুষ টেস্ট করাচ্ছে। তাতে সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে।' 

এখন যে করোনা ছড়াচ্ছে তা মারাত্মক নয় বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। তবে এই করোনাকে কোনওভাবেই মহামারি বলা যাবে না।  শালিমার বাগের ফোর্টিস হাসপাতালের সিনিয়র ডিরেক্টর এবং পালমোনোলজির প্রধান ডাঃ বিকাশ মৌর্য বলেন, 'JN.1 ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব মারাত্মক বলা যাবে না। এর প্রভাবে মৃদু উপসর্গ দেখা গিয়েছে। তীব্র শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগীদের হচ্ছে না। তাই এতে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।' 

মহামারির আকার নিতে পারে? 

গত কয়েক মাসে কেরাল, তামিলনাড়ু এবং মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর কারণ আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তন। বৃষ্টিপাত এবং তাপমাত্রা কমে যাওয়ার ফলে ভাইরাসজনিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনিতে শীত ও বর্ষাকালে যে কোনও ভাইরাসজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ে। আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে থাকে।  


JN.1 ভ্যারিয়েন্ট কতটা বিপজ্জনক? 

ডাঃ সঞ্জিত বলেন, 'JN.1 ভ্যারিয়েন্টটি গত ৮ থেকে ১২ মাস ধরে দেখা যাচ্ছে। এই ভাইরাস ওমিক্রন থেকে এসেছে।' তবে সম্প্রতি নতুন একটি সাবভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মিলেছে। যার নাম Nb.1.8.1। এটি বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকলেও এই ভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধতে সক্ষম। তবে এখনই এণ ভাইরাস নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। কারণ তা ছড়াতে পারেনি। 

Advertisement

এদিকে কোভিড নিয়ে সতর্ক WHO। তাদের তরফে দেশগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, JN.1 ভ্যারিয়েন্টের প্রায় ৩০টি মিউটেশনের মধ্যে LF.7 এবং NB.1.8 রয়েছে। এগুলো খুব সাধারণ ভ্যারিয়েন্ট। তাই ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। 

POST A COMMENT
Advertisement