দেশের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী NDA প্রার্থী সি পি রাধাকৃষ্ণণ। তাঁকেই দেখা যাবে জগদীপ ধনকড়ের আসনে। রাধাকৃষ্ণণ ৪৫২টি ভোট পেয়েছেন। এই নির্বাচনে মোট ৭৬৭ জন সাংসদ তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট গণনার সময়, ৭৫২টি ভোট বৈধ এবং ১৫টি ভোট অবৈধ ঘোষণা করা হয়। সিপি রাধাকৃষ্ণণ ৪৫২টি ভোট পেয়েছেন, যেখানে ইন্ডিয়া ব্লকের প্রার্থী বি সুদর্শন রেড্ডি পেয়েছেন মাত্র ৩০০টি ভোট।
এবারের নির্বাচনে ইন্ডিয়া শিবিরের প্রার্থী সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডির মুখোমুখি হন বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণণ৷ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া চলে৷ তবে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান থেকে নিজেদের বিরত রাখেন বিজু জনতা দল এবং ভারত রাষ্ট্র সমিতির সাংসদরা৷ সোমবার সেই ঘোষণা করেছিলেন তাঁরা।
যদিও ভোটের ফলাফল থেকে স্পষ্ট, NDA বিরোধী সাংসদদের সবাই তাঁদের প্রার্থী রেড্ডিকে ভোট দেননি। NDA এর মোট ৪২৭ জন সাংসদ ছিলেন। যদি জগনমোহন রেড্ডির দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ১১ জন সাংসদের সকলেই এনডিএ প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিয়ে থাকেন, তাহলে এই সংখ্যা ৪৩৮ হওয়ার কথা। কিন্তু সিপি রাধাকৃষ্ণণ মোট ৪৫২টি ভোট পেয়েছেন। অর্থাৎ ১৪ জন বিরোধী সাংসদ এনডিএ প্রার্থীর পক্ষে ক্রস ভোট দিয়েছেন।
গত ২১ জুলাই সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন শারীরিক কারণ দেখিয়ে উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন জগদীপ ধনখড়৷ যদিও ২০২৭ সাল পর্যন্ত তাঁর মেয়াদ ছিল। কিন্তু পদত্যাগের কারণে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন হল৷
তামিলনাড়ুর বাসিন্দা সিপি রাধাকৃষ্ণণ বর্তমানে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ছিলেন। তার আগে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালের দায়িত্বভার সামলেছেন। ২ বারের সাংসদ সিপি রাধাকৃষ্ণণ জিতেছিলেন কোয়েম্বাতুর থেকে। তামিলনাড়ুর বিজেপি সংগঠনের অন্যতম বলিষ্ঠ নেতা বলেই তাঁকে মনে করা হয়। খুব অল্প বয়স থেকেই তিনি আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত। ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি।