scorecardresearch
 

Ram Mandir CPM: রাম মন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণ ফেরাল CPM, 'যাব না', বললেন সীতারাম

২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন। সেদিন সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদেরই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রণ জানানো হয় CPI(M)-কেও। তবে রাম মন্দির উদ্বোধনে থাকবেন না বাম-রা। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। আর তারপরেই এই নিয়ে শুরু হল নয়া বিতর্ক। 

Advertisement
যাবেন না সীতারাম যাবেন না সীতারাম
হাইলাইটস
  • ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন। সেদিন সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদেরই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
  • আমন্ত্রণ জানানো হয় CPI(M)-কেও। তবে রাম মন্দির উদ্বোধনে থাকবেন না বাম-রা।
  • মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। আর তারপরেই এই নিয়ে শুরু হল নয়া বিতর্ক। 

২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন। সেদিন সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদেরই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রণ জানানো হয় CPI(M)-কেও। তবে রাম মন্দির উদ্বোধনে থাকবেন না বাম-রা। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। আর তারপরেই এই নিয়ে শুরু হল নয়া বিতর্ক। 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে  এই বিষয়ে বলেন, 'সকলকে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছিল, তবে শুধুমাত্র তাঁরাই আসবেন, যাঁদের ভগবান রাম ডাকবেন।'

মঙ্গলবার CPI(M) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ হিসাবে 'ধর্মীয় বিশ্বাসের রাজনীতিকরণ'কে দায়ী করেন। 

আরও পড়ুন

'আমি এখনও পর্যন্ত কাউকে কিছু বলিনি। রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারপার্সন নৃপেন্দ্র মিশ্রের সঙ্গে একজন ভিএইচপি(বিশ্ব হিন্দু পরিষদ) নেতা সঙ্গী হিসাবে এসেছিলেন। তাঁরা এসে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন,' বলেন ইয়েচুরি।

'ধর্ম প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দ। আমরা প্রত্যেক মানুষের তাদের বিশেষ ধর্ম বেছে নেওয়ার অধিকারকে সম্মান করি এবং রক্ষা করি। ভারতীয় সংবিধান এবং সুপ্রিম কোর্ট অনুযায়ী সরকার কখনও কোনও বিশেষ ধর্মের বা কোনও ধর্মীয় অনুষষ্ঠানের প্রতি আনুগত্য দেখাবে না। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রধানমন্ত্রী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত অন্যরা একসঙ্গে এটিকে একটি সরকার সমর্থিত অনুষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে,' দাবি ইয়েচুরির।

'এটি জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাসের রাজনীতিকরণ। এটি সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাই, এমতাবস্থায়, অনুষ্ঠানে যোগ দিতে না পেরে আমি দুঃখিত,' জানিয়েছেন ইয়েচুরি৷

দলের আরও এক সিনিয়র নেতা বৃন্দা কারাত বলেন, সিপিআই(এম) 'ধর্মীয় বিশ্বাসকে সম্মান করে'। তবে এর পাশাপাশি তিনি এটিও বলেন যে, 'ধর্মের রাজনীতি করা ঠিক নয়।'

তিনি জানান, 'আমাদের দল অযোধ্যায় রাম মন্দিরের 'প্রাণ প্রতিষ্ঠা' অনুষ্ঠানে যোগ দেবে না। আমরা ধর্মীয় বিশ্বাসকে সম্মান করি, কিন্তু ওরা একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত করছে।'

Advertisement

'এটি একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের রাজনীতিকরণ। এটা ঠিক নয়,' বলেন তিনি।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) জাতীয় মুখপাত্র বিনোদ বনসল সিপিআই(এম)-এর এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করেন। তিনি বলেন, 'যাঁর নাম সীতারাম, তিনিই অযোধ্যাধামে যাবেন না।'

X-হ্যান্ডেলে এই নিয়ে একটি পোস্ট করেন বিনোদ বনসল। সেখানে তিনি বলেন, 'এমন খবর রয়েছে যে... যাঁদের নাম সীতারাম, তাঁরাই অযোধ্যাধামে যাবেন না!! রাজনৈতিক বিরোধিতা বোধগম্য, কিন্তু কারও যদি নিজের নামের প্রতি এত ঘৃণা থাকে,  কেবল একজন কমিউনিস্টই এমনটা হতে পারে! বিদ্বেষটা রামের প্রতিই হোক বা নিজের নামের প্রতি, মানতে হবে...!!'

'আমার মনে হয় হিন্দু, হিন্দুত্ব এবং হিন্দু মূল্যবোধকে অপমান করার এই ব্যধিটা ওঁদের ডিএনএ-র একটি অংশ হয়ে গিয়েছে! যেন এঁরা বাবরের সন্তান... রাম আসছেন, দেশদ্রোহিতা থেকে বিরত থাকুন। আপনিও ফিরে আসুন,'  সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন BHP মুখপাত্র। 

রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিব্বলও রাম মন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে এই আয়োজনকে 'শো-অফ' বলে তীব্র সমালোচনা করেছেন।

তিনি বলেন, 'আমার হৃদয়ে রাম আছে। আমাকে দেখানোর দরকার নেই। আমি যা-ই বলি তা আমার হৃদয় থেকে বলি। কারণ আমি কোনও কিছুরই পরোয়া করি না। রাম আমার হৃদয়ে থাকেন। তিনিই আমাকে আমার পথ দেখিয়েছেন।'

Advertisement