'সাবধান! এটা সাইবার অপরাধীদের চাল হতে পারে... কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দ্বারা জনস্বার্থে প্রচারিত।' কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলার আগে মোদী সরকারের এই সচেতনতার বার্তা এখন রোজকার জীবনের সঙ্গী। কিন্তু এমারজেন্সির সময়ে কাউকে দ্রুত ফোন করার সময় দীর্ঘ কয়েক সেকেন্ড ধরে চলা এই বার্তা শুনে শুনে তিতিবিরক্ত জনতা। সচেতনতার বার্তাই এখন বিরক্তির উদ্রেক ঘটাচ্ছে মানুষের মনে। সকলেই চাইছেন, এ বার্তা এবার বন্ধ হোক। এই দাবি পৌঁছে গিয়েছে খোদ কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কাছেও।
জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের এক প্রাক্তন বিধায়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে এই কলার টিউন থামানোর আর্জি জানিয়েছেন। ইন্দোরের বরিষ্ঠ BJP নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক সুদর্শন গুপ্তা সংবাদসংস্থায় দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, 'এই সচেতনতার বার্তাসূচক কলার টিউনটি এবার অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে এমারজেন্সি পরিস্থিতিতে একজন গ্রাহকের জন্য ফোনে দীর্ঘ কয়েক সেকেন্ড ধরে এটি শোনা অসহ্যকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।' তাঁর সংযোজন, 'সাইবার অপরাধ নিয়ে নিঃসন্দেহে সচেতনার প্রয়োজন রয়েছে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে এই কলার টিউন বাজানোর ফলে সমস্যায় পড়ছেন গ্রাহকরা। গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি ভিত্তিতে কারও সঙ্গে তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ করার প্রয়োজন পড়লে এই কলার টিউনের চক্করে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হচ্ছে। যা রীতিমতো মাথাব্যাথার কারণ।'
কেবল সমস্যার কথা বলেই থেমে থাকেননি সুদর্শন গুপ্তা। সঙ্গে এই সমস্যা থেকে বেরনোর উপায়ও বাতলে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, হয় SMS অ্যালার্ট নয়তো অন্য কোনও বিকল্প পদ্ধতিতে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয় সাধারণ মানুষকে।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। এবার দেখার মোদী সরকার এই সমস্যার সমাধান কী পদ্ধতি খুঁজে বের করে। মোবাইল গ্রাহকদের হয়রানির শিকার হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে কী বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।