সুপ্রিম কোর্টে আবারও পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি। শীর্ষ আদালতে শুনানির লিস্টে ডিএ মামলা ছিল। তবে শীর্ষ আলাদতের বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি মিত্তলের বেঞ্চ আজ জানিয়েছে, যে সমস্ত মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, শুনানিতে সময় লাগে, সেই ধরনের মামলা সোমবার ও শুক্রবার শোনা হয় না। তাই আজ শুক্রবার আর এই মামলার শুনানি হয়নি। ডিএ মামলার শুনানির পরবর্তী দিন এখনও সুপ্রিম কোর্ট স্থির করেনি। মনে করা হচ্ছে অক্টোবরে আবারও এই মামলা উঠতে পারে শীর্ষ আদালতে।
২০২২ সালের মে মাসে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। রাজ্যের যুক্তি, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে ডিএ দিতে হলে প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। যা রাজ্য সরকারের পক্ষে এই মুহূর্তে বহন করা কঠিন। রাজ্যের সরকারি কর্মচারী সংগঠনের আইনজীবী দাবি করেন, বকেয়া ডিএ দিতে হলে রাজ্যের উপর বিশাল অঙ্কের আর্থিক বোঝা চাপবে। এরপর বেশ কয়েকবার মামলা উঠলেও শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়।
শেষবার শীর্ষ আদালতে ডিএ মামলা উঠেছিল ২৮ এপ্রিল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও সঞ্জয় কারোলের ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল মামলা। মামলার নম্বর ছিল ৪৯ নম্বর। সরকারি কর্মী ও আইনজীবীরা আশা করেছিলেন, মামলাটি শুক্রবারই নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। তবে শুনানি শুরু হতেই সরকারের তরফে জানানো হয়, তাঁদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি এখনও উপস্থিত হননি। সেজন্য পাশওভার চাওয়া হয়। তখন রাজ্যের মামলাকারী সংগঠনের আইনজীবীদের তরফে আবেদন করা হয়, আজই যেন মামলার নিষ্পত্তি করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে খবর, মাননীয় বিচারপতিরা জানান, তাঁরা পাশওভার দিচ্ছেন কিন্তু আরও মামলা রয়েছে। সেগুলোর শুনানিও হবে। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয় মামলা আপাতত স্থগিত। পরবর্তী শুনানির দিন ১৪ জুলাই ঠিক করা হয়।
আজ আড়াইটে নাগাদ ডিএ মামলাটি উঠলে সরকারি কর্মীদের তরফে উপস্থিত আইনজীবী মামলার নিষ্পত্তির আবেদন জানান। যদিও বিচারপতিরা জানান, যে সমস্ত মামলার শুনানিতে সময় লাগে, সেই ধরনের মামলা সোমবার ও শুক্রবার শোনা হয় না। তাই আজ আর এই মামলার শুনানি করা সম্ভব নয়। যদিও, কর্মচারীদের পক্ষে উপস্থিত আইনজীবী আজই মামলার নিষ্পত্তির আবেদন আবারও জানান। এক্ষেত্রে তিনি লাখ লাখ সরকারি কর্মচারীর প্রসঙ্গ তোলেন। আগেও কয়েকবার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ার কথাও বিচারপতিদের জানানো হয়। তখন বিচারপতিরা জানান, তাঁর শীঘ্রই এই মামলা শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করবেন।